শেরপুরে বজ্রপাতে পৃথক ঘটনায় চারজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলার সদর, নকলা, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় ঘটনাগুলো ঘটে।
Advertisement
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে মো. মোস্তফা, নকলা উপজেলার লাভা গ্রামের মো. বদিউজ্জামানের ছেলে মো. আজিজুল হক, শ্রীবরদী উপজেলার মো. আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আকরাম হোসেন ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা এলাকার কিশোর রাসেল মিয়া।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মো. ফজু মিয়ার ছেলে মো. বদু মিয়া ও মৃত জোসনা মিয়ার ছেলে মো. আবু সাঈদ এবং নকলার লাভা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বাবু মিয়া ও মোক্তার হোসেনের ছেলে মো. হুমায়ুন ওরফে ফকির।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করছিলেন কৃষি শ্রমিক মোস্তফা। দুপুর ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এছাড়া বদু মিয়া ও আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন।
Advertisement
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নকলা উপজেলার লাভা এলাকায় জমিতে ধান রোপণের সময় বজ্রপাতে আরেক কৃষি শ্রমিক মো. আজিজুল হক মারা যান। এ সময় মো. হুমায়ুন ও বাবু মিয়া আহত হন।
একই সময় শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর এলাকায় বজ্রপাতে কিশোর আকরাম হোসেন ও ঝিনাইগাতী মালিঝিকান্দা এলাকার রাসেল মিয়া নামের আরেক কিশোর মারা যায়।
বজ্রপাতে নিহতের বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও ঝিনাইগাতী থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করছে। নিজ নিজ থানায় অপমৃত্যুর মামলা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইমরান হাসান রাব্বী/এসজে/এএসএম
Advertisement