কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হতেই চিরচেনা রূপে ফিরেছে খুলনা। যানবাহনের ভিড়, যানজট, দোকান-পাট শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, অফিস-আদালতে কর্মচাঞ্চল্য সবই ফিরেছে আগের অবস্থায়।
Advertisement
নগরীর সেন্ট্রাল রোড মোড়ে ফল বিক্রি করেন দবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত বছর থেকেই করোনার কারণে লকডাউন শুরু হয়েছে। সবকিছু স্থবির হলেও পেট তো আর তা বোঝে না। ব্যবসা বন্ধ থাকলেও তিন বেলা খাওয়া বন্ধ ছিল না। তাই ঋণ করে সংসার চালিয়েছি। আবার লকডাউন শুরু হলে ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
পত্রিকার হকার শহিদুল ইসলাম জানান, লকডাউনের পর থেকেই পত্রিকার কাটতি কমেছে। আগে দিনে দুইশ পত্রিকা দেয়া সম্ভব হলেও করোনার কারণে তা অর্ধেকের বেশি কমে যায়। তবে আবার কয়েকজন ফোন করে পত্রিকা দিতে বলেছেন।
নগরীর প্রাণকেন্দ্রে জলিল টাওয়ার নামের শপিং মলটিও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে। এ মার্কেটের এক শাড়ি বিক্রেতা আনিসুর জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর দোকান খুলে ঝাড়া মোছা করতে করতেই আধবেলা কেটে গেছে। চেষ্টা থাকবে ব্যবসা আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে।’
Advertisement
বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জারি করা হয় একের পর এক বিধিনিষেধ। এতে গৃহবন্দি হয়ে পড়ে মানুষ। বন্ধ হতে থাকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
আলমগীর হান্নান/এএইচ/এমএস
Advertisement