করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। তবে ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই থেকে ফের শুরু হয় বিধিনিষেধ। যা শেষ হয় মঙ্গলবার রাত ১২টায়।
Advertisement
১৯ দিনের এই কঠোর বিধিনিষেধে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ৭ হাজার ৫৬৯ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ৮৪৩ জনকে জরিমানা করা হয় ৩১ লাখ ১১ হাজার ৯৩৫ টাকা।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্রটি জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঈদুল আজহার পর গত ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় রাজধানীতে র্যাব, বিজিবি, আনসার, সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে ভূমিকা পালন করে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত, থানা পুলিশ, গোয়েন্দা এবং ট্রাফিক বিভাগ।
Advertisement
তবে বিধিনিষেধ চলাকালে অনেকেই বিনাকারণে বাইরে বের হন। জরুরি সেবার নামে চলতে দেখা যায় নানা যানবাহন। শুধু তাই নয়, মাস্ক ছাড়া বেরিয়ে গুনতে হয় জরিমানা।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বিধিনিষেধের ১৯ দিনে রাজধানীতে ৭ হাজার ৫৬৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ৮৪৩ জনকে জরিমানা করা হয়। যার পরিমাণ ৩১ লাখ ১১ হাজার ৯৩৫ টাকা।
অপরদিকে বিধিনিষেধে যান চলাচলে নিয়ম অমান্য করায় ৮ হাজার ৩৫০টি গাড়িকে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
সূত্রটি জানায়, ঈদুল আজহার পর বিধিনিষেধের প্রথম দিন ২৩ জুলাই ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০৩ জনকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএমপি ট্রাফিক কর্তৃক ৪৪১টি গাড়িকে জরিমানা করা হয় ১০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা।
Advertisement
এছাড়া বিধিনিষেধের শেষ দিন মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গ্রেফতার করা হয় ১৯৮ জনকে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫২ জনকে ৪৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএমপি ট্রাফিক কর্তৃক ৫১০টি গাড়িকে জরিমানা করা হয় ১১ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা।
টিটি/জেডএইচ/এমকেএইচ