শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের অব্যাহত কর্মসূচি ঠেকাতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে যবিপ্রবি প্রক্টর ডক্টর মশিউর রহমান বলেন, এদিন (রোববার) সন্ধ্যার মধ্য ছাত্রদের এবং সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদলের নেতৃত্বে বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর জের ধরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা অব্যাহত ছিল। গত তিন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করছিলেন। শিক্ষার্থীরা শনিবার ও রোববার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে মিছিলে অংশ নেন। এ অবস্থায় আগামী ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।শিক্ষার্থীরা জানান, হামলার ঘটনায় বাদলের বহিষ্কার দাবিতে তারা ভিসি প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে বাদলকে বহিষ্কার না করা হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এমন সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকেন।এদিকে, ক্যাম্পাসে যখন শিক্ষার্থীরা মিছিল করছিলেন তখন বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর স্নাতক ভর্তি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টিও উঠে আসে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিবৃত করার জন্য তেমন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি প্রশাসন। বৈঠকে অংশ নেওয়া যবিপ্রবি প্রক্টর ডক্টর মশিউর রহমান বলেন, ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব বন্টনসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আন্দোলন চললে অনার্স ভর্তি বিঘ্নিত হতে পারে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবো।অন্যদিকে, সর্বশেষ রোববার ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে ১৬ বিভাগের শিক্ষার্থীরা একযোগে মিছিল বের করে। এদিন তারা ছয় বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায়ও অংশ নেননি। উপস্থিত হননি ক্লাসেও। মিছিল থেকে তারা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী বাদলের বহিষ্কারে স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যতম জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়ো টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র রাশিদুজ্জামান রাজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী বাদলের ভাই শরীফ। গত বুধবার শিক্ষার্থীরা এঘটনা বাদলকে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিলো। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বাদল বহিরাগতদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। মিলন/ এমএএস/পিআর
Advertisement