তথ্যপ্রযুক্তি

আপনার মোবাইল সেট বৈধ না অবৈধ বুঝবেন যেভাবে

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এজন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা এসব মোবাইল সেট পরে বিচ্ছিন্ন করা হবে।

Advertisement

এজন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বিটিআরসি। এতে মোবাইল গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। অবৈধ মোবাইল সেট বৈধ করার সময় পাবেন সবাই। এখনই কারও মোবাইল সেট নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করা হবে না। নিবন্ধিত বৈধ মোবাইল সেট হারিয়ে গেলে তা নিষ্ক্রিয় করা যাবে।

বিটিআরসি জানায়, এনইআইআর সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা দিতে মোবাইল অপারেটরগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাস্টমার কেয়ার নম্বর ১২১ ডায়াল করে এবং কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এ সম্পর্কিত সেবা নেয়া যাবে। কোনো কারণে মোবাইল অপারেটররা সেবা দিতে অপারগ হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর ‘১০০’ ডায়াল করে এ সম্পর্কিত সেবা নেয়া যাবে। এনইআইআর সংক্রান্ত সব তথ্য এই লিঙ্কে দেয়া রয়েছে।

১ জুলাই থেকে *১৬১৬১# ডায়াল করে ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাই করা যাচ্ছে। প্রথমে ওই নম্বরে ডায়াল করার পর আইএমইআই নম্বর চাওয়া হবে। ওই নম্বর দিয়ে সেন্ড করার পর পরবর্তী মেসেজে জানা যাবে গ্রাহকের মোবাইল সেট নিবন্ধিত কি-না। মোবাইল কোম্পানি থেকে এটি জানিয়ে দেয়া হবে।

Advertisement

তবে বিদেশ থেকে আনা কিংবা না জেনে দোকান থেকে অবৈধভাবে আনা মোবাইল ফোন কিনলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পর্যায়ক্রমে সব মোবাইলকে বৈধ করার সুযোগ করে দেয়া হবে।

এছাড়াও কারও হ্যান্ডসেট চুরি হলে যথাযথ ডকুমেন্ট সাবমিট করে তা নিষ্ক্রিয় করার ব্যবস্থা থাকবে। চলমান পরীক্ষাকাল (তিন মাস) অতিবাহিত হলে অবৈধ হ্যান্ডসেট নিষ্ক্রিয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

এইচএস/এআরএ/এএসএম

Advertisement