শুধু ভালো নীতি একটি অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে না। এর জন্য নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি তদারকি ব্যাবস্থারও উন্নয়ন করা জরুরি। একই সঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটালেই অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. কৌশিক বসু। রোববার বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক গণবক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বক্তৃতার বিষয়- ‘বিশ্ব অর্থনীতি, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা : সমস্যা ও সম্ভাবনা’। ড. কৌশিক বসু বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন শুধু এ দেশের উন্নয়ন নয়। এ উন্নয়ন সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রশংসা করে কৌশিক বসু বলেন, বাংলাদেশ এখন এশিয়ান টাইগার। বাংলাদেশের অর্থনীতি এশিয়ার নেতৃত্ব প্রধানকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এই সুবিধাকে কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বড় একটি প্রতিযোগী দেশ। দেশটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল অকস্থানে রয়েছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ২০২০ সালের মধ্যে এ প্রবিৃদ্ধি ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে যা অন্যান্য দেশের অনুসরণ করার মতো। তিনি বলেন, গত ২০ বছর আগে যখন বাংলাদেশে এসেছিলাম তথন, ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে। গতকাল রাত ১০টার সময়েও ট্রাফিক জ্যামে পড়েছি। এতে বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল।এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের আমন্ত্রণে শনিবার ৪ দিনের সফরে ঢাকায় আসেন কৌশিক বসু। এসময় তিনি দীর্ঘ ৪০ মিনিট বক্তব্য দেন। বিশ্বব্যাংকের প্রধান এ অর্থনীতিবিদের বক্তৃতায় বাংলাদেশ, ভারত তথা বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা এবং সম্ভাবনার দিক উঠে আসে। সমাপনী বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির অবস্থান তুলে ধরেন। এসময় তিনি রিজার্ভ নিয়ে বলেন, আমরা আমাদের বড় এ রিজার্ভ নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নই। এটি নিয়ে ভবিষ্যতে কি কি করা যেতে পারে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। তবে কৌশিক বসু বলেন, বেশি রিজার্ভ কোনো সমস্যা নয়। বড় আকারের রিজার্ভ অনেক দেশেরই রয়েছে। তবে এটা শুধু বেশি থাকলেই হবে না। এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এসআই/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement