আগের ম্যাচে ওয়ানডাউনে নেমে সাকিব আল হাসানের এক ওভারেই ৩০ রান নিয়েছিলেন ড্যান ক্রিশ্চিয়ান। যার সুবাধে সফরে একমাত্র জয়টি পেলো অস্ট্রেলিয়া। আজ শেষ ম্যাচে সেই ক্রিশ্চিয়ানকে ওপেনিংয়েই নামিয়ে দিলো সফরকারীরা। চিন্তা ছিল হয়তো, ১২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্রিশ্চিয়ান যদি একটা ঝড় তুলে দিতে পারেন!
Advertisement
কিন্তু সাকিব আল হাসান বল হাতে নেয়ার আগেই সাজঘরে ড্যানিয়েল (ক্রিশ্চিয়ান)। ৩ বলে করলেন মাত্র ৩ রান। এরপরই নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হলেন। অস্ট্রেলিয়ার দুর্দাশা এবং চরম লজ্জা শুরু তখনই। এরপর বোলিংয়ে যখন সাকিবকে আনা হলো, ততক্ষণে ২টি ব্যাটসম্যানের আয়ু শেষ করে দিয়েছিলেন নাসুম। সাকিব এসেই সর্বোচ্চ ২২ রান করা ম্যাথ্যু ওয়েডকে তুলে নিলেন। সাকিবের বল বোঝার আগেই বোল্ড অসি অধিনায়ক।
এরপর অ্যাস্টন টার্নারকে যখন সাকিব ক্যাচ দেয়ালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে, তখনই টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে বিরল রেকর্ডটি গড়ে ফেলেন তিনি। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রান এবং ১০০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন তিনি।
সাকিব টি-টোয়েন্টিতে হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন অনেক আগেই। এই ফরম্যাটে এখন তার রান সংখ্যা ১৭১৮। মোট ম্যাচ খেলেছেন ৮৪টি। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সাকিবের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তামিম। তার নামের পাশে রয়েছে ১৭৫৮ রান। তিনি ম্যাচ খেলেছেন ৭৮টি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সাকিব ২৩ নম্বরে। তামিম, ২১ নম্বরে। ৯০ ম্যাচে ৩১৫৯ রান নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন ভারতের বিরাট কোহলি।
Advertisement
তবে বোলারদের তালিকায় এর আগে শতাধিক উইকেটের মাইলফলক পার হয়েছিলেন কেবল একজন। লাসিথ মালিঙ্গা। তিনি এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন। তার আগে ম্যাচ খেলেছেন ৮৪টি। উইকেট নিয়েছেন ১০৭টি। সমান সংখ্যক ম্যাচে এখন সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ ১০২ উইকেট। মালিঙ্গার চেয়ে মাত্র ৫ উইকেট পেছনে।
সাকিব আর মালিঙ্গা ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শতাধিক উইকেট নেই আর কারো। ৯৯ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। সে হিসেবে ১০০ প্লাস উইকেট এবং এক হাজার প্লাস রান করা টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র ক্রিকেটার হলেন সাকিব। দ্বিতীয় কোনো ক্রিকেটার আসতে লাগবে অনেক সময়।
আইএইচএস
Advertisement