লাইফস্টাইল

ডেঙ্গুর যেসব লক্ষণ বিপজ্জনক ইঙ্গিত দেয়

ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ঘটে ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে। এই ভাইরাসের বাহক এডিস নামক স্ত্রী মশকী। এর কামড়েই ডেঙ্গু হয়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ৩-১৩ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।

Advertisement

সাধারণ ডেঙ্গুর লক্ষণ ১. তীব্র জ্বর (১০৪°-১০৫° ফারেনহাইট এমনকি তার বেশি)২. মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা

৩. শরীরের অস্থি, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশিতে তীব্র ও প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হওয়া৪. ক্লান্তিবোধ, অরুচি ও বমি বমি ভাব৫. শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যাওয়া

ডেঙ্গুর বিপজ্জনক লক্ষণ

Advertisement

১. তীব্র পেটে ব্যথা২. ক্রমাগত বমি হতে থাকা৩. পেটে বা ফুসফুসে পানি জমা ও শ্বাসকষ্ট

৪. অতিরিক্ত দুর্বলতা, অবসাদ কিংবা অস্থিরতা৫. চামড়া কিংবা মিউকাস ঝিল্লির নিচে রক্তক্ষরণ অথবা নাক, মুখ বা মলদ্বার থেকে তীব্র রক্তপাত৬. যকৃত ২ সে.মি. এর বেশি বড় হয়ে যাওয়া৭. রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ দ্রুত কমে যাওয়া ও হেমাটোক্রিট দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া৮. জন্ডিস হওয়া এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কমতে থাকা

৯. রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া১০. নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হওয়া১১. শরীরের হাত-পা ও অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সাধারণ ডেঙ্গুর উপসর্গের পাশাপাশি এ ধরণের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। মূলত জ্বর কমে যাওয়ার পরই ডেঙ্গুর সংকটাপন্ন দশা শুরু হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

Advertisement

তাই ‘জ্বর কমে গেলেই রোগী সুস্থ হয়ে গেল’- এমনটি ভাবার কারণ নেই। যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন; তাদের ক্ষেত্রে আবারও রোগটি হলে তা মারাত্মক হতে পারে।

লেখক: এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ), বিসিএস (স্বাস্থ্য); মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডুমুরিয়া, খুলনা।

জেএমএস/এএসএম