ক্যাম্পাস

যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল সমাবেশ অব্যাহত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বদিউজ্জামান বাদলের নেতৃত্বে বহিরাগতদের হামলার পর গত তিনদিন ধরে ক্যাম্পাস জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার থেকে প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে চলেছেন। তারা শনিবার ও রোববার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ অবস্থায় আগামী ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।সর্বশেষ রোববার ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা একযোগে মিছিল বের করেন। এদিন তারা ছয় বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায়ও অংশ নেননি। উপস্থিত হননি ক্লাসেও। মিছিল থেকে তারা কর্মচারী বাদলের বহিষ্কারে স্লােগান দিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া অন্যতম জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ছাত্র রাশিদুজ্জামান রাজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন কর্মচারী বাদলের ভাই শরিফুল। গত বুধবার শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা বাদলকে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এতে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিলো। এর ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বাদল বহিরাগতদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালান। শিক্ষার্থীরা জানান, হামলার ঘটনায় বাদলের বহিষ্কারের দাবিতে তারা ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বাদলকে বহিষ্কার না করা হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।এদিকে, ক্যাম্পাসে যখন শিক্ষার্থীরা মিছিল করছিলেন তখন বৈঠকে বসেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর স্নাতক ভর্তি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টিও উঠে আসে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিবৃত করার জন্য তেমন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি প্রশাসন। বৈঠকে অংশ নেয়া যবিপ্রবি প্রক্টর ডক্টর মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব বণ্টনসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আন্দোলন চললে অনার্স ভর্তি বিঘ্নিত হতে পারে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। মিলন রহমান/এমজেড/পিআর

Advertisement