আন্তর্জাতিক

সব নাগরিকের করোনা পরীক্ষা করেছে উহান

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের সব বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মধ্যাঞ্চলীয় এই শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা শেষ করেছে। সেখানে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর উহানে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার থেকেই গণহারে ওই শহরে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। উহানের শীর্ষ কর্মকর্তা লি তাও এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ছয় বছরের কম বয়সী শিশু এবং শিক্ষার্থী ছাড়া শহরের সব বাসিন্দাকে করোনা পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। গত শনিবার উহানে নতুন করে স্থানীয়ভাবে ৩৭টি কোভিড কেস শনাক্ত হয়েছে।

পরবর্তীতে গণহারে করোনা পরীক্ষায় আরও ৪১ জন উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানেই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর প্রায় এক বছর ধরে কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বেইজিং। কিন্তু নতুন করে আবারও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ওই শহরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে শহরের কর্মকর্তারা জানান, উহানে সাতজনের স্থানীয়ভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর এমন ঘটনা ঘটেছে। করোনা মহামারির শুরু থেকেই কঠোর লকডাউন জারি করে উহান কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জীবন-যাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গণহারে করোনা পরীক্ষা করতে আড়াই হাজারের বেশি স্থানে ২৮ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন করা হয়। করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই নতুন করে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চীনের ডজনখানেক প্রদেশ এবং ২০টির বেশি শহরে ইতোমধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

সে কারণেই রাজধানী বেইজিংসহ অন্য বড় শহরের স্থানীয় সরকার তাদের লাখ লাখ বাসিন্দার গণহারে করোনা পরীক্ষা করছে। এছাড়া লকডাউন এবং কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৩ হাজার ৮২৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৬ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৭ হাজার ৫৮৭ জন।

Advertisement

টিটিএন/এমকেএইচ