ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুল ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁস হওয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
Advertisement
রিটে নৈতিক স্খলনের দায়ে অধ্যক্ষকে পদ হতে অব্যাহতি দেয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার (৮ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল এ রিট দায়ের করেন।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও স্কুল অ্যান্ড কলেজ শাখা গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
Advertisement
রিট আবেদনের পর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ভিডিওতে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
এর আগে রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সদস্য মনিরুজ্জামান খোকনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা ঘটে। অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সঙ্গে অধ্যক্ষের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁসের পর গত ২৮ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।
ওই ফোনালাপের একপর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
Advertisement
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার ওই কথোপকথন সর্বত্র আলোচিত। সেই কথোপকথনে এমন ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে, যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এফএইচ/এআরএ/জিকেএস