ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
Advertisement
দেশটির সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবনের ওপর সাধারণ আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতার আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রেরণা ও অবদান রয়েছে।
তারা বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর কারাগারে বন্দিকালীন এবং সংগ্রাম মুখর জীবনে কোনো প্রকার চাপের মধ্যে নতিস্বীকার না করতে বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি সাহস জুগিয়েছেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রাষ্ট্রপ্রধানের সহধর্মিণী হয়েও আজীবন সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
Advertisement
তিনি বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনন্য অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ক্ষেত্রেও বঙ্গমাতার পরামর্শ নিয়েছিলেন, যা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। জেলাখানায় বসে বঙ্গবন্ধুকে তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লিখতে উৎসাহর ক্ষেত্রেও বেগম মুজিবের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, মাত্র পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে বঙ্গমাতা পিতা-মাতাকে হারিয়ে সংগ্রামী জীবনের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অনবদ্য অবদান রেখে তিনিও হয়ে উঠেন বঙ্গমাতা। তার মতো মহিয়সী নারীর জীবনদর্শন অনুসরণ করার মাধ্যমে নারী উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। এমআরএম
Advertisement