কুরআনে সকল শ্রেণীর মানুষের অবস্থা বর্ণনার পর কার কি অবস্থা হবে তা বর্ণনা করা হয়েছে। অস্বীকারকারীদেরকে দোযখের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের পর ঈমানদারদের জন্য বেহেশতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। আলোচ্য আয়াত ঈমানদারদের জন্য সুসংবাদ দিয়ে আল্লাহ বলেন-আর (হে রাসুল!) যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে, আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোনো ফল প্রাপ্ত হবে, তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৫)অত্র আয়াতে দুই শ্রেণীর লোকের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ক. ঈমানদার এবং খ. সৎকাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তি। নেক আমল এবং ঈমান একটা আরেকটার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঈমান ব্যতিত নেক আমল তথা দুনিয়ার কোন ভালো কাজই গ্রহণযোগ্য হবে না। সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ঈমানের সহিত সুন্নাত তরিকায় নেক আমল করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যথায় প্রত্যাখাত হবে।ঈমানদার নেক আমলকারীর জন্য সুসংবাদ হচ্ছে-ক. তাঁরা বেহেশতে থাকবে, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত;খ. সেখানে তারা ফলমূলপ্রাপ্ত হবে। এ ফল দেখতে এবং আকার দুনিয়ার ফলের মতোই হবে। কিন্ত স্বাদের বেলায় দুনিয়ার ফলের কোনো তুলনাই হবে না। হাদিসে এসেছে, ‘এমন নিয়ামত- যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি, কোনো মানুষের অন্তরে তার সঠিক ধারণা উদয় হয়নি। (বুখারি)গ. তাঁদের জন্য থাকবে রক্তস্রাবমুক্ত, নিফাসমুক্ত এবং ঘৃণিত ও অপবিত্র জিনিস হতে মুক্ত পবিত্র রমণীগণ।ঘ. তাঁরা চিরকাল জান্নাতের বসবাস করবে- হাদিসে এসেছে- ‘জান্নাতিরা জান্নাতে আর জাহান্নামিরা জাহান্নামে চলে যাওয়ার পর একজন ফেরেশতা ঘোষণা দেবেন, ‘হে জাহান্নামবাসীগণ! আর মৃত্যু নেই। আর হে জান্নাতবাসীগণ! আর মৃত্যু নেই। যে দল যে অবস্থায় আছে, সব সময় ঐ অবস্থায়ই থাকবে। (বুখারি ও মুসলিম)সুতরাং আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঈমানের সঙ্গে সঙ্গে নেক আমল করে জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement