শনিবার নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অন্যতম বাজে একটি দিন কাটিয়েছেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথমে ব্যাট হাতে ২৬ বলে মাত্র ১৫ রান। পরে বল হাতে এক ওভারে ৫ ছক্কাসহ ৪ ওভারে মোট খরচ করেছেন ৫০ রান।
Advertisement
ব্যাটসম্যানদের ভয়াবহ ব্যর্থতায় মাত্র ১০৪ রানে অলআউট হওয়ার পরই মূলত ম্যাচ হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবু যা লড়াইয়ের সম্ভাবনা ছিল, তা শেষ হয়ে গেছে সাকিবের নজিরবিহীন বাজে বোলিংয়ের দিন। বিশেষ করে ইনিংসের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ৫টি ছক্কা হজম করেছেন তিনি।
প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নামা ড্যান ক্রিশ্চিয়ান সেই ওভারের প্রথম তিন বলে টানা তিন ছক্কা হাঁকান। পরের বলটি ছক্কা হাঁকানোর মতো জোরে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন অসি ব্যাটসম্যান। কিন্তু তার পরের দুই বলে আবারও টানা দুই ছক্কা হাঁকান তিনি।
সাকিবের মতো চতুর বোলারের বিপক্ষে এক ওভারেই ৫টি ছক্কা হাঁকানো নিঃসন্দেহে বড় কৃতিত্বের দাবিদার। বিশেষ করে চলতি সিরিজের আগের তিন ম্যাচে যেমন আঁটসাঁট বোলিং করেছেন সাকিব, তাতে তার বিপক্ষে হাত খুলে খেলার চিন্তা করাও ছিল বেশ কঠিন।
Advertisement
কিন্তু সেই কাজটিই খুব সহজে করে ফেলেছেন ক্রিশ্চিয়ান। আর এর পেছনে তাকে সাহায্য করে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলো (বিগ ব্যাশ, আইপিএল)। যেখানে আগেই সাকিবের বিপক্ষে অনেকবার খেলেছেন ক্রিশ্চিয়ান। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই নিজের কাজ সেরেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে ক্রিশ্চিয়ান বলেছেন, ‘সাকিবের বিপক্ষে বিগ ব্যাশে খেলেছি। আইপিএলেও কয়েকবার খেলেছি। ঐ ওভারে আসলে আমি আমার ভূমিকা পালন করেছি। যাতে পরে আসা ব্যাটসম্যানের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়। পাওয়ারপ্লে-তে ব্যাটিং করার সৌন্দর্য এটাই। বৃত্তের বাইরে যখন দুজন ফিল্ডার থাকে।’
সাকিবের ওভারে ঐ পাঁচ ছক্কার সুবাদে নিজের ব্যক্তিগত ইনিংসটা দারুণ হয়ে গেছে ক্রিশ্চিয়ানের। যেই উইকেটে অন্য ব্যাটসম্যানরা একশ স্ট্রাইকরেটে খেলতেই বেগ পাচ্ছেন। সেখানে তিনি ২৬০ স্ট্রাইকরেটে ১৫ বলে করেছেন ৩৯ রান। যা সিরিজে অসিদের প্রথম জয়ে রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
তবে তাই বলে বাংলাদেশ এমন কন্ডিশন বা উইকেটকে মোটেও সহজ মানতে রাজি নন এ অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার মতে, ক্যারিয়ারের অন্যতম কঠিন বাংলাদেশের কন্ডিশন, ‘আমার ক্যারিয়ারে এমন কন্ডিশন আর কোনোটির সঙ্গেই তুলনা চলে না। কঠিন যত কন্ডিশন দেখেছি, বাংলাদেশ ওপরের দিকেই থাকবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য।’
Advertisement
ক্রিশ্চিয়ান আরও যোগ করেন, ‘এখানে ১২০ রান আসলে ১৯০ রানের মতো। স্পিনাররা বোলিংয়ে এলে, পেসাররা স্লোয়ার দেয়া শুরু করলেই খেলা কঠিন হয়ে যায়। বল থেমে আসে, অনেক টার্নও করে। এর সঙ্গে আবার মাঠের আকৃতিও বিশাল। একেবারেই ভিন্ন রকম ক্রিকেট।’
এসএএস/জিকেএস