জাতীয়

টিকা সাড়ে তিনশ, লাইনে হাজারো মানুষ

কেন্দ্রের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড়, হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। রোববার (৮ আগস্ট) মিরপুরের কয়েকটি টিকাকেন্দ্র ঘুরে এমন বিশৃঙ্খলা চোখে পড়ে। এ সময় লাইন ভেঙে টিকা নেয়ার অভিযোগ করেন অনেকেই। এছাড়াও টিকাকেন্দ্রের বাইরে অনেকের মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।

Advertisement

এদিন সকাল ১০টায় পল্লবী ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নেয়ার জন্য বাইরে কয়েকশত লোক দাঁড়িয়ে আছেন। ফজরের নামাজের পর এসে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই টিকা পাননি বলে অভিযোগ করেন। এ সময় টিকা না নিয়ে অনেকেই ফেরত যান।

ব্যবসায়ী আশরাফ বলেন, এখানে যেই অবস্থা তাতে এখানে থাকলে করোনা হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি। মাত্র সাড়ে তিনশ টিকা দিলে এই অবস্থা হবে এটাই স্বাভাবিক। এ সময় অনেকেই পিছনের গেট দিয়ে লাইনের বাইরে থেকে লোক প্রবেশ করানোর অভিযোগ করেন।

মো. হাসান নামের এক টিকা গ্রহণেচ্ছু বলেন, আমি সকাল ৭টার সময় আসছি। এখন পর্যন্ত টিকার কোনো খবর নেই। বাইরের গেট দিয়ে পার্সোনালি লোক ঢোকানো হচ্ছে।

Advertisement

যদিও বাইরে থেকে লোক ঢুকানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মো. সাজ্জাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, লাইনের বাইরে কাউকে টিকা দেয়া হচ্ছে না।

বিশৃঙ্খলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাজার হাজার লোক আসছে টিকা নিতে। কিন্তু টিকা আছে মাত্র সাড়ে তিনশ, বিশৃঙ্খলা তো হবেই। তবে ভেতরে সব কিছু ঠিকমতো চলছে বলে জানান তিনি।

টিকাকেন্দ্রের বাইরে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি সামলাতে বারবার বাঁশি দিতে হচ্ছে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের। ভিড় সামলাতে গলদঘর্ম হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকেরাও।

স্বেচ্ছাসেবক রাজু আহমেদ বলেন, বাইরে থেকে কাউকে ঢোকানোর সুযোগ নেই। একটাই গেইট, এখান দিয়ে সবাই ঢুকে আর টিকা নিয়ে বের হয়। টিকা স্বল্পতায় লাইনের বাইরে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তাদের বাসায় চলে যেতে বলেছি। আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এদিকে মিরপুর ১২ নম্বরের ডি ব্লকে সূর্যের হাসি নামক আরেকটি স্থানে টিকা দেয়ার কথা থাকলেও গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তা সরিয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লিনিকের এক কর্মকর্তা।

সারাদেশে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যক্রম। দেশের চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে একযোগে টিকা দেয়া হচ্ছে।

এসএম/এআরএ/এমকেএইচ