দেশজুড়ে

বুড়িগঙ্গায় ট্রলারডুবি : ৩০ ঘণ্টায়ও কেউ উদ্ধার হয়নি

নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনার ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনো নিখোঁজের কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নদীর তীরের দুই পাড়ে নিখোঁজের স্বজনরা অপেক্ষা করছেন তাদের স্বজনদের খোঁজে। আর একই পরিবারের তিনজন নিখোঁজ হওয়ায় কিছুতেই কান্না থামছে না উদ্ধার হওযা লুৎফা বেগমের। স্বামী আর দুই সন্তান হারিয়ে লুৎফা বেগম এখন পাগল প্রায়। এদিকে সকাল ১০টার পর নারায়ণগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করলেও এখনো নিখোঁজের কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। লুৎফা বেগম কান্নায় জর্জরিত হয়ে জাগো নিউজকে বলেন, ভাই আমি কিছুই চাই না আপনারা আমার ছেলে-মেয়ে আর স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। আর যদি জীবিত দিতে না পারেন তাহলে মরদেহ হলেও দেন। আমি কিছুই চাই না শুধু আমার পরিবারের লোকদের ফিরিয়ে দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সদর উজেলার বক্তাবলী নৌ-ফাড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল রাজ্জাক জাগো নিউজকে জানান, সকাল ১০টার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। শনিবার ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সনাক্ত করলেও এখনো উদ্ধার করা হয়নি। নিখোঁজ হওয়া লোকদের উদ্ধার চেষ্টার অভিযান চলছে।প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল সাতটায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর রাধানগর এলাকায় অবস্থিত লেংটার মেলা থেকে ফিরে আলীরটেকের ডিক্রিরচর খেয়াঘাট দিয়ে ৪০/৫০ জন যাত্রী নিয়ে নদী পারাপারে সময় ঢাকাগামী লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় প্রায় ২৫ জন যাত্রী নিখোঁজ হলেও এখনো কাউকে উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি। আর ঘন কুয়াশা থাকার কারণে ট্রলারে থাকা যাত্রীরা ট্রলারের মাঝি শাহিনকে আস্তে আস্তে যেতে বলার পরও কোনো তোয়াক্কা না করে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারটির গতি বাড়িয়ে যাওয়ার পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার জন্য ট্রলার মাঝিকে দায়ী করছেন নিখোঁজের পরিবারের লোকজন।   মো. শাহাদাত হোসেন/এমজেড/এমএস

Advertisement