দেশজুড়ে

বরিশালে টেঁটাবিদ্ধ যুবকের ঢামেকে মৃত্যু

বরিশালের উজিরপুরে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছোড়া টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিপ্লব তালুকদার (৪০) মারা গেছেন।

Advertisement

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় বিপ্লব তালুকদার ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারসহ (৭০) পরিবারের পাঁচজন গুরুতর আহত হন। ওই দিন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়। আহত বিপ্লব তালুকদার ও তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার এবং মেজ ভাই সোহাগ তালুকদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

নিহত দেলোয়ার হোসেন তালুকদার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের মৃত হাশেম তালুকদারের ছেলে। তিনি বামরাইল ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন। অন্যদিকে বিপ্লব তালুকদার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে।

Advertisement

দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ১০ শতাংশ জমি নিয়ে তার ভাই দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম সিপাহীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান রোপণ করেন নুরুল ইসলাম সিপাহী। গত ২৯ জুলাই সকালে দেলোয়ার হোসেন সেই ধান তুলে ফেলেন। এরপর দেলোয়ার হোসেন ওই জমিতে ধান রোপণ করছিলেন। এসময় নুরুল ইসলাম সিপাহীর নেতৃত্বে আজগর সিপাহী, জলিল সিপাহী, নুর মোহাম্মদ সিপাহী, আকতার হোসেন, সবুজ সরদার, সাইফুল তালুকদারসহ ৩০-৩২ জন লোক রামদা, দা, টেঁটা ও লাঠিসোটা নিয়ে দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা চালায়। দেলোয়ার হোসেনকে রক্ষা করতে তিন ছেলে ও এক ছেলের বউ এগিয়ে গেলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। এসময় টেঁটা নিক্ষেপ করলে তা গিয়ে বিপ্লব তালুকদারের পায়ে বিদ্ধ হয়।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। টেঁটা বিদ্ধ বিপ্লব তালুকদার ও মেঝ ছেলে সোহাগ তালুকদার ও বিপ্লব তালুকদারের স্ত্রী রোজিনা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপ্লব তালুকদারের তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গত ৩১ জুলাই (শনিবার) নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে তরিকুল ইসলাম জুয়েল তালুকদার বাদী হয়ে মামলা করেন।

উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী আরশাদ জানান, হামলার সঙ্গে জড়িত ও মামলার চার আসামি আকতার হোসেন, সবুজ সরদার, সাইফুল তালুকদার এবং আকলিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

সাইফ আমীন/আরএইচ/এমএস