জাতীয়

‘জনসচেতনতাই পারে করোনা সংক্রমণ কমাতে’

জনসচেতনতাই করোনা সংক্রমণ কমাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

Advertisement

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংক্রমণ কমাতে হবে। সংক্রমণ হাসপাতাল-ক্লিনিকে তৈরি হয় না, রাস্তা-ঘাটে হচ্ছে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সংক্রমণের হার বাড়ছে। ডাক্তার-নার্স তো ট্রান্সপোর্ট সেক্টর কন্ট্রোল করতে পারবে না। ফেরি কন্ট্রোল করতে পারবে না। ফ্যাক্টরি কন্ট্রোল করতে পারবে না। আমাদের জনগণের সাপোর্ট দরকার। জনগণ পারবে এই ইনফেকশনের হার কমাতে।’

সবাইকে করোনার টিকা দিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘করোনার টিকা এখন আমরা গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। শহরের লোকেরা টিকা মোটামুটি পেয়েছে। গ্রামের বয়স্ক লোক সেভাবে টিকা গ্রহণ করেনি। তাদের মধ্যে অনীহাও ছিল। ইউনিয়ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টিকার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা সেই জন্য টিকা তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরে যে ৭৫ শতাংশ রোগী আছে তাদের বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা, বয়স্ক মানুষ এবং ৯০ শতাংশই টিকাবিহীন, তারা টিকা নেননি বলেও জানান তিনি।’

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ‘পুরুষ রোগীর পাশাপাশি এখন করোনায় নারী রোগীর সংখ্যাও সমান হারে বাড়ছে। করোনা রোগী সবচেয়ে বেশি রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামে। দেশে এ পর্যন্ত ২১ হাজার লোক মারা গেছেন তার মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামেই ১৪ হাজার। এ ছাড়া করোনায় যারা মারা গেছেন, তাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে।’

রাজধানীর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ২৪ দিনে একটি হাসপাতাল করেছিলাম। সেটিও এক হাজার শয্যার ছিল। এই হাসপাতালটিও এক হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে। ২০ দিনে আমরা ৪০০ শয্যা প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যে আইসিইউ শয্যা আছে ৪০টি। বাকি সব শয্যাগুলো সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় রয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ছয় হাজার শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে এখন এক হাজার শয্যাও খালি নেই। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আইসিইউ রয়েছে প্রায় দেড় হাজার।

এফএইচ/জেডএইচ/এমএস

Advertisement