লাইফস্টাইল

এ সময় মরিচ চা খেলে সারবে যেসব রোগ

চা বলতে সাধারণত সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়কে বোঝায়, যা চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। পানির পরই চা বিশ্বের সর্বাধিক উপভোগ্য পানীয়।

Advertisement

চা’তে এক ধরনের স্নিগ্ধ, প্রশান্তিদায়ক স্বাদ আছে; তাই অনেকেই এটি পান করেন। চা শুধু প্রশান্তি দেয় না, ফিটনেস ধরে রাখতে এমনকি শরীর সুস্থ রাখতেও চা কার্যকরী পানীয়।

বর্তমানে করোনাকালীন বারবার রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। সেজন্য মধ্য সকালে বা বিকেলে যারা ঝাল পছন্দ করেন তারা গরম টক-ঝাল মরিচ চা পান করতে পারেন।

টক-ঝাল মরিচ চা নিয়মিত পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যারা সর্দি-জ্বর বা সর্দি-কাশিতে সারা বছর ভুগেনন বা হঠাৎ করে আক্রান্ত হন; তারাও রাখতে পারেন এমন একটা আয়ুর্বেদিক চা। এ ছাড়াও মাইন্ড রিফ্রেশমেন্ট এ কাজ করে থাকে এই চা।

Advertisement

মরিচ চা তৈরি করবেন যেভাবে

উপকরণ: পানি, চা-পাতা, আদা, লেবু, চিনি, বিট লবণ ও কাঁচামরিচ।

পদ্ধতি: প্রথমে চুলায় পরিমাণ মতো পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে এলে এতে আদা কুচি এবং চা পাতা দিয়ে জ্বাল করে নিতে হবে।

তারপর কাপে স্বাদমতো চিনি, এক চিমটি বিট লবণ, লেবুর রস (প্রয়োজনে স্বাদের জন্য কেউবা পুরা লেবুই দিতে পারেন) দিতে হবে। সবশেষে এতে কাঁচামরিচ কুচি করে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

Advertisement

টক-ঝাল মরিচ চা’র পুষ্টিগুণ সম্পর্কে গুলশান ডায়াবেটিক কেয়ারের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ বলেন, ‘মরিচ চা একটি স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। এই চা’তে ব্যবহার করা হয়েছে লেবু, আদা ও মরিচ।’

‘আদায় একটি সক্রিয় উপাদান জিঞ্জেরল আছে বলে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও আদায় আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য। যা যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।’

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে, শ্বাসনালির সংক্রমণ রোধে এবং সাধারণ সর্দি-কাশি কমাতে ভিটামিন ‘সি’ খুবই কার্যকর। আর এই ভিটামিন ‘সি’র ভালো উৎস হলো লেবু। এ ছাড়াও মরিচে আছে ভিটামিন এ আছে, যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

পাশাপাশি ভিটামিন-সি থাকে কাঁচা মরিচে। যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। হজম প্রক্রিয়া উন্নত রাখে। পাশাপাশি ফুসফুসের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই বলা যায়, টক-ঝাল মরিচ চা পুষ্টি সমৃদ্ধ।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

জেএমএস/এএসএম