জাতীয়

হাসপাতালে আর বেড বাড়ানোর সুযোগ নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘হাসপাতালগুলোতে এখন করোনা চিকিৎসার পাশাপাশি ডেঙ্গু চিকিৎসাও করতে হচ্ছে। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তবে সংক্রমণ কমানোর সময় এসেছে। হাসপাতালে আর বেড বাড়ানোর সুযোগ নেই।’

Advertisement

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ দিন দিন খারাপ হচ্ছে। হাসপাতালগুলোর কোথাও আইসিইউ বেড খালি নেই। কোভিড চিকিৎসায় সারাদেশে ১৭ হাজার সাধারণ বেড রয়েছে। তবে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে।’

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

বিএসএমএমইউয়ের ফিল্ড হাসপাতাল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএমএমইউয়ের ফিল্ড হাসপাতালে আপাতত ৩৫৭টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি আইসিইউ, বাকিগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আর হাসপাতালটিকে পর্যায়ক্রমে এক হাজার বেডে উন্নীত করা হবে।’

Advertisement

বিএসএমএমইউয়ের ফিল্ড হাসপাতাল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএমএমইউয়ের ফিল্ড হাসপাতালে আপাতত ৩৫৭টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি আইসিইউ, বাকিগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আর হাসপাতালটিকে পর্যায়ক্রমে এক হাজার বেডে উন্নীত করা হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিড চিকিৎসার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা এখানে আছে। তবে সব রোগী এখানে ভর্তি করা হবে না। নতুন রোগী ও মুমূর্ষু রোগীরা এখানে আসবে, তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।’

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চীন থেকে সিনোফার্মের সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরও ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই অনুমোদন দিয়েছেন।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘সাত কোটি ডোজ টিকার মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই দুই কোটি করে মোট চার কোটি ডোজ টিকা আসবে। এর আগেও আসবে, তবে কিছুটা কম করে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন সময় এসেছে করোনা রোগীর সংখ্যা কমানোর, হাসপাতালের বেড বাড়ানোর নয়। করোনা ইনফেকশন কমাতে হবে। ইনফেকশন হাসপাতাল-ক্লিনিকে তৈরি হয় না। ইনফেকশন রাস্তাঘাটে, দোকানপাটে, ফেরিতে, ফ্যাক্টরিতে, গ্রাম-গঞ্জে হয়। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না ফলে ইনফেকশনের হার বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ডাক্তার-নার্সরা ইনফেকশনের হার কমাবে, কিন্তু ডাক্তার-নার্স তো আর ফেরি কন্ট্রোল করতে পারবে না। জনগণ পারবে, ইনফেকশনের হার কমাতে আমাদের জনগণের সাপোর্ট দরকার। যারা বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্বে আছে তারা পারবে। আমাদের নেতাকর্মীদের আমরা অনুরোধ করবো- তারা ইনফেকশন কমাতে যেন প্রচার-প্রচারণা চালান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ১৮ হাজার কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে অনেক কিছু নির্ভর করে। সারা বছর আমাদের টিকা কার্যক্রম চলবে। গ্রাম-গঞ্জে টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক নারীদের বেশি গুরুত্ব দেব। কারণ আমাদের ফ্রন্টলাইনের লোকজন, ছাত্ররা প্রায় টিকা পেয়েছেন। তাই আমরা বর্তমানে গ্রামগঞ্জে টিকা দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।

এফএইচ/এমএসএম/ইএ/এআরএ/জিকেএস/এএসএম