র্যাবের হাতে আটক ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে বনানী থানায় নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র্যাব সদর দফতর থেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে তাদের নিয়ে বনানী থানার উদ্দেশ্যে রওনা হন র্যাব সদস্যরা।
তাদের বিরুদ্ধে মাদক এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘বুধবার বিকেলে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মাদক ও সিসার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকের একটি মামলা ও নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে মাদক এবং পর্নোগ্রাফির দুটি মামলা হচ্ছে। মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বনানী থানায় র্যাব বাদী হয়ে মামলা করবে।’
এছাড়া পরীমনির সঙ্গে আটক হওয়া আশরাফুল ইসলাম দীপু এবং রাজের সঙ্গে আটক হওয়া সবুজ আলীর বিরুদ্ধেও একই মামলা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল (বুধবার) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যায় র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। তাদের দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি। তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, তার বাসায় ‘বিভিন্ন পোশাকে’ লোকজন এসে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে বলছেন। কিন্তু তিনি দরজা খুলতে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
Advertisement
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়।
প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে বনানীর বাসা আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়ে গেছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।
টিটি/এমএইচআর/এএসএম