গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজউক, স্থাপত্য অধিদফতররসহ অন্যান্য দফতর ও সংস্থার নির্মিত এবং নির্মাণাধীন সরকারি ও আবাসিক ভবনে স্ব স্ব উদ্যোগে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
Advertisement
একইসঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে চলমান মশক নিধন কার্যক্রমে রাজউকসহ সব দফতর-সংস্থাকে সহযোগিতার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) অনলাইনে আয়োজিত রাজউকের আওতাধীন সরকারি, ডেভেলপার, ব্যক্তিপর্যায়ে নির্মিত-নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার বংশ বিস্তার ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে নির্মিত-নির্মাণাধীন ভবনে নিয়মিত তদারকি সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রাজউক এবং স্থাপত্য অধিদফতরের অনেকগুলো নির্মাণাধীন ও নির্মিত অবকাঠামো রয়েছে। এছাড়া অনেক সরকারি এবং বেসরকারি আবাসিক এলাকা রয়েছে। যেগুলোতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তাই সব সরকারি ভবন ও আবাসিক এলাকা, নির্মাণাধীন ভবন এবং কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেটসহ সব বাজারে মশক নিধনে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
Advertisement
মশা নিধনে যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর গুণগতমান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ছিটানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ওষুধের ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। শুধু অভিযান পরিচালনা করে মশার প্রাদুর্ভাব বন্ধ করা যাবে না। এজন্য দরকার মানুষের সচেতনতা।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, রাজউক চেয়ারম্যন এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এবং রিহ্যাব ও বিএলডিএ-এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আইএইচআর/এএএইচ/এএসএম
Advertisement