পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা ‘বিতর্কিত’ প্রতীকের কারণে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীকের সবগুলো প্রচার উপযোগী না হওয়ায় অধিকাংশ প্রার্থীই একটি বা দু’টি প্রতীকের প্রতি আগ্রহী। যশোর পৌরসভার ১২ নারী কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে আটজনেরই প্রথম পছন্দ ‘কাঁচি’। সিংহভাগই ‘কাঁচি’ নিয়ে মাঠে নামতে চাইলেও এদের মধ্যে মাত্র তিনজন ওই প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। ফলে কাঁচি প্রতীক পেতে লটারি নামক ভাগ্য পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে তাদের।যশোর পৌরসভার সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে মোট ১২ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এদের মনোনয়নপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এদের মধ্যে আটজনই পছন্দের প্রতীক হিসেবে ‘কাঁচি’ দাবি করেছেন। ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন পাঁচ প্রার্থী।তারা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর সুফিয়া বেগম, আইরিন পারভীন, কোহিনুর বেগম মনি, অর্চনা অধিকারী ও রিনি বেগম। এদের মধ্যে প্রথম চারজনই কাঁচি প্রতীক চেয়েছেন। আর শুধুমাত্র রিনি বেগম পছন্দের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন ‘গ্যাসের চুলা’।৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন চার প্রার্থী। তারা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর রাশিদা রহমান, হাজেরা পারভীন, সৈয়দা সামারাতুরদ্দৌর ও নাসিমা আক্তার জলি। এদের মধ্যে রাশিদা রহমান ও হাজেরা পারভীন কাঁচি প্রতীক চেয়ে আবেদন করেছেন।আর সৈয়দা সামারাতুরদ্দৌর ও নাসিমা আক্তার জলির প্রথম পছন্দ ‘আঙুর ফল’। আর ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত তিনজন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে কাঁচি প্রতীক দাবি করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি ও সাবিয়া সুলতানা।যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ওয়াহিদা আফরোজ জানান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে চুড়ি, চকলেট, পুতুল, ফ্রক, ভ্যানিটি ব্যাগ, মৌমাছি, হারমোনিয়াম, কাঁচি, আঙ্গুর ও গ্যাসের চুলা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।আগামী সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে এই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের চাহিদা বিবেচনায় নেবেন তারা। তবে একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক দাবি করলে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।মিলন রহমান/বিএ
Advertisement