ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের’ ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযোগের প্রমাণ মিললে তাকে আটকও করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
Advertisement
বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টায় পরীমনির রাজধানীর বনানীর বাসায় এ অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। তাদের দেখে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ শুরু করেন পরীমনি।
লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি ঘুমাইতেছিলাম। বাসার নিচে মেইন গেটে সব ভাঙচুর করে তারা ওপরে চলে আসছে। এখন বাসার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করছে। বারবার কলিং বেল বাজাচ্ছে। পুলিশের কেউ শুনছে না, আমি সবাইকে ফোন করলাম কেউ আসছে না। মরে গেলে আসবেন ভাই? এরা যদি ডাকাত হয় কী করবেন? আমি এটার ভয় করছিলাম। আমি আজ লাইভ কাটব না।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘এখানে থানা থেকে আসতে কতক্ষণ লাগে? মানুষ কি মরে যাবে? তারা না-কি কেউ জানে না, কোন থানা থেকে আসছে, সিআইডি না র্যাব, কেউ কিছু বলতে পারছে না।’
Advertisement
‘আমি ডিবি অফিসে ফোন করলাম। হারুন ভাই বললেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। তোমার দরজা খোলার দরকার নেই। আমরা আসছি। আমি বুঝতেছি না, আমি মরে গেলে আসবেন? আমি তো হার্ট আট্যাক করব। ব্রেন স্টোক করে মরে যাব। এটা একদম টর্চার।’
এ সময় পরীমনি কেউ একজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি মরে যাব আর পৃথিবী দেখবে না! আমি লাইভ কাটব না। আমি দেখায়ে মরব। আমার সঙ্গে কেউ কিছু করে পার পাবে না। আর মেরে ফেললে তো কোনো কিছু করার নাই।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা জেনেশুনে চুপ করে আছেন এগুলো সহ্য করবে না। আপনারা সব মিডিয়া দেখছেন কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না। যারা মিডিয়া দেখছেন আপনারা আসবেন? ক্যামেরা নিয়ে আসবেন? নাইলে একটু বাঁচাইতে আসবেন? আমি জাস্ট মরে যাচ্ছি।’
‘এতোগুলো লোক আসছে, কেউ একজন সাদা পোশাক, কেউ লাল পোশাক। তারা এসে বলতেছে যে আমরা থানা থেকে এসেছি। আমরা পুলিশের লোক। আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন থানা থেকে আসছেন? কিন্তু তারা বাজে আচরণ করছে। এটা কোনো পুলিশ? কোনো তদন্তের স্বার্থে আসুক বা যে কোনো স্বার্থে আসুক, তারা প্রথমেই এভাবে কিন্তু বলতে পারে না। আমি ভয় পাচ্ছি। মৃত্যুর ভয় পাচ্ছি, সরি দরজা খুলতে পারব না।’
Advertisement
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
পরীমনিকে আটক করা হবে কি-না জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণ হলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হতে পারে।’
পরীমনি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে ঢাকার সাভারের বোটক্লাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন তিনি। সে ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছিলেন, তারা আবার জামিনও পেয়েছেন। এর মধ্যেই আবার একাধিক ক্লাবে পরীমনির ভাঙচুরের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি রাজধানী থেকে পিয়াসা ও মৌ নামে দুই মডেল গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বাসায় বিপুল মদ ও ইয়াবা পাওয়া গেছে।
টিটি/জেডএইচ/এইচএ/এমএস