নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ইমাম হোসাইন।
Advertisement
গত ৮ জুলাই ওই কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহতদের লাশ হস্তান্তর উপলক্ষে বুধবার (৪ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সিআইডির এই অ্যাডিশনাল ডিআইজি বলেন, তদন্ত কার্যক্রম কবে নাগাদ শেষ হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলে যাচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলার মধ্যেই আসামিরা জামিন পেয়েছেন, ফলে তদন্ত কার্যক্রমে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কি-না জানতে চাইলে ইমাম হোসাইন বলেন, যেকোনো মামলার ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ একটি পক্ষ; এখানে বিচার বিভাগ রয়েছে। কোন আসামি জামিনে থাকবে, কোন আসামি জেলখানায় থাকবে তা সম্পূর্ণ বিচার বিভাগের এখতিয়ার। এখানে কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। আদালত যা ভালো মনে করেছেন সেভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আসামির জামিন, বাইরে থাকাকে আমরা কোনো বাধা মনে করছি না।
Advertisement
তদন্তের অগ্রগতি কত দূর এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ তদন্তে আমরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি। এসব কাজ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়। এখন পর্যন্ত আমরা আগুন কোথা থেকে লেগেছে তার কাছাকাছি অবস্থানে চলে গেছি। এরপর বাকি বেশকিছু রিপোর্ট লাগবে, বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট লাগবে, কিছু বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট লাগবে। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে বলার মতো সময় হয়নি।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ৪৮ জনের মধ্যে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষায় ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হওয়া গেছে। এর মধ্যে আজ ২৪ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
এমইউ/এমআরআর/এমএস
Advertisement