ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হলো ইব্রাহিম রাইসির। মঙ্গলবার তার অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এসময় এক টেলিভিশন বক্তব্যে রাইসি বলেন, তার নেতৃত্বাধীন ইরানের নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞার অবসান চাইবে। তবে, অন্যদের ইচ্ছায় ইরানের মানুষের জীবনযাত্রায় কোনো পরিবর্তন আনবে না তার সরকার। রয়টার্সের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
আগামীকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে শপথ নেবেন রাইসি। এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাইসির অভিষেক নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি একটি ডিক্রি জারি করেন। ডিক্রিতে বলা হয়, জনগণের পছন্দ অনুযায়ী, জ্ঞানী, অদম্য, অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় ইব্রাহিম রাইসিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
তার অভিষেকের মধ্য দিয়ে মধ্যপন্থী হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হলেন অতিরক্ষণশীল রাইসি। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সম্পাদিত ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি রুহানির সবচেয়ে বড় অর্জন। এখন এই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব রাইসির কাঁধে এসে পড়ল। এ ছাড়া তাকে সামনের দিনগুলোতে ইরানের গভীর অর্থনৈতিক সংকটও মোকাবিলা করতে হবে।
রাইসি একজন সাবেক বিচারপতি। গত জুনে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির সমর্থন নিয়ে এই নির্বাচনে জয়ী হন রাইসি। মানবাধিকার ইস্যুতে তার অতীত নিয়ে পশ্চিমারা সমালোচনা করে আসছে আগে থেকেই। ইরানের শীর্ষস্থানীয় যে কয়েকজনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাদের মধ্যে রাইসি অন্যতম।
Advertisement
রাইসি এমন এক সময় ইরানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন, যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অনেকাটাই সম্পর্ক ম্লান দেশটির।
এসএনআর/এসএইচএস/এএসএম