মহেন্দ্র সিং ধোনি কেন ভারতীয় ক্রিকেটে তার সাম্রাজ্য হারিয়ে ফেললেন? এ নিয়ে বিস্তর জ্বল্পনা-কল্পনা। অধিকাংশেরই মতে, এর পেছনে বিরাট কোহলির বিশাল ভূমিকা রয়েছে। ধোনির সঙ্গে কোহলির বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে নানা মুখরোচক কথাও ছড়িয়েছে এতদিন। অনবরত তুলনা চলেছে দু’জনের অধিনায়কত্বের। তবে, ধোনির প্রতি যে এখনও কোহলির অনেক শ্রদ্ধা, সেটা বোঝা গেলো শুক্রবার, মুম্বাইতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার সময়।শুক্রবার মুম্বাইকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা ছাড়াও মনে রাখার কারণ আছে যথেষ্ট। এদিন বিরাট কোহলি বলে দিলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন তিনি। ধোনির বরফশীতল মস্তিষ্কটাও নিয়ে নিতে চান বিরাট।মুম্বাই শহরে শুক্রবার ক্রিকেটীয় উপাদানের অভাব ছিল না। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোহলিও। সেখানে তিনি বলেন, ‘২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাটা ভারতীয় ক্রিকেটের একটা মাইলফলক ছিল। জয়টা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তার আগে টি-টোয়েন্টি নিয়ে তেমন ধারণা কারও ছিল না। অসম্ভব গর্বের একটা দিন ছিল ওটা।’ আট বছর আগে জোহানেসবার্গে পাক-ভারত বিশ্বকাপ ফাইনাল নামের থ্রিলার চলছে, ভারতীয় টেস্ট অধিনায়কের বয়স সবে উনিশ। ‘গোটা দেশের মতো আমিও ম্যাচটা দেখছিলাম। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছিলাম। ওই জয় থেকে যে বিশ্বাসটা পেয়েছিলাম, সেটাই চার বছর পর দেশের মাঠে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছিল আমাদের’-বলেন কোহলি।এরপর তার গলায় ধোনি-মুগ্ধতাও বেরিয়ে আসে। ‘অধিনায়ক হিসেবে ধোনি সব কিছু জিতেছে। ওর নেতৃত্বে দল টেস্টে এক নম্বর অবস্থানে গিয়েছিল। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতেও হয়েছে। ধোনির আর পাওয়ার কিছু নেই। আমি ওকে বহু দিন ধরে দেখছি। দেশের জন্য ধোনি যা যা করেছে, তার জন্য ওকে আমি শ্রদ্ধাও করি।’ ধোনির কোন জিনিসটা তিনি শিখতে চান? বিরাটের জবাব, ‘ধোনি যেভাবে অসম্ভব চাপের মধ্যেও নিজেকে ঠান্ডা রাখে, সেটা শিখতে চাই। সাম্প্রতিক সময়ে আমি সেটা করেছিও। তবে আমি সব সময়ই শিখছি।’আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement