বাইরে চলাচল করতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে। টিকা না নিয়ে বের হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে পণ্য ডেলিভারির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
Advertisement
তারা বলছেন, টিকা কার্যক্রমকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় না আনতে পারলে এবং সবাইকে টিকার আওতায় আনা না গেলে পণ্য ডেলিভারি সেবা ব্যাহত হতে পারে। কারণ ডেলিভারি পেশায় যারা নিয়োজিত তাদের একটা বড় অংশ তরুণ। এছাড়া এর মধ্যে অনেকে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কিন্তু ‘এসএমএস পাচ্ছেন না’। ফলে টিকা পাওয়া নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ই-কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডেলিভারিতে যারা কাজ করেন তাদের বয়স ১৮-৩০ এর মধ্যে। আমাদের সব কর্মীকে টিকার আওতায় আনার জন্য আমরা এপ্লাই করেছি। এমন করে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও করেছে।’
তিনি বলেন, ‘টিকা ছাড়া বের হওয়া যাবে না এটা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন হয়নি। অনেক সময় আমরা প্রজ্ঞাপনে কিছু পার্থক্য দেখি। প্রজ্ঞাপন হলে বা টিকার বয়সসীমা না কমালে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাব।’
Advertisement
পণ্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান ডেলেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রফিকুল রঞ্জু বলেন, ‘সবাইকে টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। টিকার রেজিস্ট্রেশন করলেই যে দ্রুত টিকা পাওয়া যাচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। অনেকেই টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু এসএমএস পাচ্ছেন না।’
তিনি বলেন, ‘যাদের বয়স ১৮ বছর তারা আগামী সপ্তাহ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে শুনছি। টিকা নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা আছে। গণটিকা কার্যক্রম যদি ঠিকভাবে শুরু না হয় তাহলে আমাদের অনেকেই বের হতে পারবে না।’
এদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা তাদের বাইরে চলাচল করতে টিকা নিতে হবে। টিকা না নিয়ে চলাচল করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘টিকা না নিয়ে কেউ দোকান খুলতে পারবেন না বা বাইরে বেরোতে পারবেন না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা বাইরে চলাফেরা করবেন, তারা টিকা না নিয়ে চললে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’
Advertisement
এসএম/জেডএইচ/এমএস