করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সহায়তায় বিজিএমইএর উদ্যোগে গঠিত তহবিলে ইপিক গ্রুপ অনুদান দিয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ইপিক গ্রুপের পক্ষে জেনারেল ম্যানেজার পি. কে. সাও বিজিএমইএ অফিসে সভাপতি ফারুক হাসানের কাছে ৫ লাখ টাকার চেক ও ১ লাখ ফেস মাস্ক হস্তান্তর করেন।
Advertisement
এ সময় বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক তানভীর আহমেদ, সাবেক পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন এবং ইপিক গ্রুপের প্রতিনিধিরা। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ইপিক গ্রুপের চেয়ারম্যান রঞ্জন মাহতানি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল দারইয়ানানী ও দিনেশ ভারওয়ানি ভার্চুয়ারি যুক্ত হন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, সম্প্রতি দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতিতে যাওয়ার কারণে দেশে এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের অপর্যাপ্ততা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষজন করোনায় আক্রান্ত স্বজনদের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে।
এই নিম্ন-মধ্যম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ যারা করোনা অতিমারির কারণে দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর অবস্থায় পতিত হয়েছে তাদের জন্য আমাদের দায়িত্ব পালনের অবকাশ রয়েছে। এসব মানুষের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় আপনার সদয় আর্থিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
Advertisement
এ অর্থ দিয়ে চিকিৎসাসামগ্রী যেমন ন্যাসাল ক্যানুলা, অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদি এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ক্রয় করে সেগুলো হাসপাতালগুলোতে বিতরণ করা হবে যা অসহায় রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে।
ফারুক হাসান বলেন, বর্তমানে দেশে কোভিড পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে, আমরা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কোভিড আক্রান্তদের সহায়তায় একটি দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এই তহবিল থেকে বিজিএমইএ যাদের মেডিকেল সরঞ্জামাদি ও ওষুধপত্র প্রয়োজন হবে, তাদেরকে তা বিতরণ করবে।
তহবিলে অনুদানের জন্য বিজিএমইএ সভাপতি এপিক গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পোশাক শিল্পের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এগিয়ে আসবে। তিনি বিজিএমইএ’র এই তহবিলে আর্থিক অনুদানের জন্য জনগণ ও সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানান।
ইএআর/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement