অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এসেছে সত্য; কিন্তু করোনার কারণে এত বেশি শর্তারোপ করেছে যে, তা একপ্রকার বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে গেছে। যে বাড়াবাড়ির কারণে মুশফিকুর রহীমকে ছাড়াই সিরিজে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তাদের বাড়াবাড়ির কারণে মাঠে ক্যামেরা ক্রু পর্যন্ত প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। মিডিয়ার ওপর আরোপ করা হয়েছে নানা বিধি-নিষেধ।
Advertisement
এবার সিরিজ শুরু হওয়ার পর সেই কড়াকড়ির নামে বাড়াবাড়ির আরও নজির দেখা গেলো। যা রীতিমত বিস্ময়কর। এমনিতেই করোনার কারণে সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুরোপুরি দর্শকহীন স্টেডিয়ামে। খেলোয়াড়-কর্মকর্তা ছাড়া মাঠে প্রবেশ করতে পেরেছে শুধুমাত্র সম্প্রচার কর্তৃপক্ষের কিছু সদস্য। শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যলারি তাই দীর্ঘদিন মানবস্পর্শ শূন্য।
তবুও, অস্ট্রেলিয়ানদের আরোপ করা শর্তের মধ্যে রয়েছে, কোনো ব্যাটসম্যানের খেলা শট ছক্কা হয়ে যদি গ্যালারিতে গিয়ে আচড়ে পড়ে, তাহলে সেই বল আর খেলা যাবে না। আনতে হবে নতুন বল। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাস্যকর এই শর্তারোপ করেছে অস্ট্রেলিয়ানরা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হতে না হতেই এই শর্ত পালন করতে দেখা গেলো আয়োজক বাংলাদেশকে। মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলটি নাইম শেখ ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন।
Advertisement
বল গিয়ে আছড়ে পড়ে শেরে বাংলার পূর্ব দিকের গ্যালারিতে। সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ আম্পায়ার বলের বক্স নিয়ে ঢুকলেন মাঠে। বদলানো হলো বল। শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ বিসিবিকে বল বদলাতেই হলো।
ম্যাচ শুরুর আগে দেখা গেলো এক হাস্যকর দৃশ্য। টস করার সময় সামাজিক দুরত্ব মানতে দেখা গেছে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার দুই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং ম্যাথ্যু ওয়েডকে। করোনার কারণে এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। তবে টসের পর দুই দলের অধিনায়ককে খেলোয়াড় তালিকা হস্তান্তর করতে গিয়ে দেখা গেলো ম্যাথ্যু ওয়েড এমনভাবে রিয়াদের বাড়িয়ে দেয়া কাগজা ধরলেন, যার কারণে তিনি খুব ভীত, করোনাভাইরাস যে কোনো সময় তাকে আক্রান্ত করতে পারে।
আইএইচএস/এএসএম
Advertisement