প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১ আগস্ট সারা পৃথিবী জুড়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব ফুসফুসীয় ক্যান্সার দিবস। দিবসটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে অন্যতম ৮টি অফিসিয়াল পাবলিক হেলথ বিষয়ক দিবসের মধ্যে অন্যতম।
Advertisement
এ দিবসে মূল উদ্দেশ্যই হলো সারা বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সার এবং এটির প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা। বিশ্বব্যাপী ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই বাংলাদেশসহ পুরো পৃথিবীতে এবারের বিশ্ব ফুসফুসীয় ক্যান্সার দিবস-২০২১ পালন করা হয়েছে।
ক্যান্সার কী?
বহুকোষী প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের সমন্বয়ে তৈরি। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মৃত্যুবরণ করে। আর এই পুরনো মৃত কোষগুলোর স্থানে নতুন তৈরি হওয়া কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সাধারণভাবে কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়মমাফিক বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়।
Advertisement
তবে যখন এই কোষগুলো ক্যান্সার সহায়ক অনকোজিন সক্রিয় হওয়ার কারণে অথবা ক্যান্সার দমনকারী জিন নিষ্ক্রিয় থাকায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতেই থাকে; তখনই সেই স্থানে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। যাকে বলা হয় টিউমার।
এই টিউমার বিনাইন কিংবা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই ক্যান্সার নামে পরিচিত। অর্থাৎ নিওপ্লাস্টিক বা টিউমার কোষ উচ্চহার বিশিষ্ট আক্রমণাত্মকতা, মেটাস্টাসিস এবং শরীরের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা সম্পন্ন হলে তাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যান্সার বলে অভিহিত করা হয়।
ফুসফুসের ক্যান্সার
উপরোক্ত বিষয়গুলো ফুসফুসে সংঘটিত হলে তাকে বলা হয় ফুসফুসীয় ক্যান্সার। শ্বাসতন্ত্রের যাবতীয় রোগের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার সবচেয়ে মারাত্মক। আমাদের দেশে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঠিক পরিসংখ্যান তেমন নেই।
Advertisement
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের অনুমিত হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রতি বছর মারা যান প্রায় ৯১ হাজার ব্যক্তি। মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিগণ প্রধানত ফুসফুস, কোলোরেক্টাল, পাকস্থলি, লিভার, স্তন, খাদ্যনালী, প্যানক্রিয়াস ও জরায়ুমুখ ক্যান্সারে ভুগেই মারা যান সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে শনাক্ত মোট ক্যান্সার রোগীর প্রায় ১৬ শতাংশই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত। ফুসফুসীয় ক্যান্সার ফুসফুসের শ্বাসনালি, বায়ুথলি ও মিউকাস গ্ল্যান্ডের এপিথেলিয়াম ইত্যাদি যেকোনো কোষ থেকেই সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার শুধু ফুসফুসেই সীমাবদ্ধ না থেকে তা লসিকাগ্রন্থি ও অন্যান্য অঙ্গে (যেমন মস্তিষ্ক, হাড় ইত্যাদি) ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ক্যান্সার কোষের ওপর নির্ভর করে ফুসফুসের ক্যান্সারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, যেমন- স্মল সেল কারসিনোমা ও নন-স্মল সেল কারসিনোমা। নন-স্মল সেল কারসিনোমাকে আবার তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়- স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা (৩৫ শতাংশ), এডেনোকারসিনোমা (৩০ শতাংশ)এবং লার্জ সেল কারসিনোমা (১৫ শতাংশ)।
এ ছাড়াও ফুসফুসের অন্যান্য ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে এডিনয়েড সিস্টিক কারসিনোমা, লিম্ফোমা, সারকোমা প্রভৃতিদেখা যায়, যা মূলত দুর্লভ প্রকৃতির। সাধারণত শ্বাসনালীর গোড়ার দিকে স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা আর মাঝের দিকে স্মল সেল কারসিনোমা উৎপন্ন হয়। ফুসফুসীয় ক্যান্সারের চিকিৎসার ভিত্তি হলো এই শ্রেণিবিভাগ।
ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ
বিশ্বব্যাপী পুরুষের মৃত্যুর প্রথম কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার, আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় কারণ। গ্রামের চেয়ে শহরবাসীরাই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন বেশি। অবশ্য এর পেছনে যথাযথ কারণও বিদ্যমান- গ্রামের চেয়ে শহরে যানবাহন ও কল-কারখানার কালো ধোঁয়া, বায়ুদূষণ, ধুলাবালি সবকিছুই অনেক বেশি।
অজৈব পদার্থের ক্ষুদ্র কণা বা আঁশ যেমন- এসবেস্টস, নিকেল, ক্রোমিয়াম এবং জৈব পদার্থ যেমন- বেনজিন, বেনজোপাইরিন ইত্যাদি বায়ুর সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। ফুসফুসের ওপর প্রতিনিয়ত অত্যাচারই এর জন্য দায়ী। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ রোগীই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপায়ী ও তামাকসেবী।
দিনে ২০টি করে ৪০ বছর সিগারেট খেলে ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা অধূমপায়ীর তুলনায়প্রায় ২০ গুণ বেশি। নিয়মিত ধূমপায়ীদের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্মল সেল ক্যান্সার হতে দেখা যায়। ফুসফুসের অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় এটি বেশি মারাত্মক এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত শরীরের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
আবার ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়ের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও অন্যদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এ থেকে ধারণা করা হয় যে, এই ক্যান্সারের উৎপত্তিতে বংশগত প্রভাবও বিদ্যমান। এ ছাড়া সিলিকোসিস, ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজিজ, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, ক্রোনিক ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগগুলোতে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেশ বৃদ্ধি পায়।
বায়ুতে রেডন গ্যাসের উপস্থিতি এবং অনাকাঙ্ক্ষিত তেজস্ক্রিয়তাও ফুসফুসের ক্যান্সারের উল্লেখযোগ্য কারণ। কতিপয় বিশেষ পেশাজীবী, যেমন- কয়লার খনিশ্রমিক, বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক, পেট্রোলিয়াম, কেমিক্যাল বা রাবার কারখানার শ্রমিক ও জাহাজ শ্রমিক, যারা এক্স-রে বিভাগে কাজ করেন, যাদের রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া হয়, অ্যাসবেস্টস কারখানার কর্মী কিংবা প্রচুর ধূলা-বালুর মধ্যে কাজ করেন- এ ধরনের ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার হার বেশি।
সেইসঙ্গে শরীরের অন্য কোথাও ক্যান্সার হলে সেই স্থান থেকে রক্তের মাধ্যমে দ্রুত ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। যাকে বলা হয় ফুসফুসের সেকেন্ডারি কারসিনোমা। প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর ফুসফুসের ক্যান্সার একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে। এর কারণ হলো অবহেলা।
ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হলো কাশি। কাশি যদি আট সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় সঙ্গে বুকে ব্যথা থাকে তাহলে সাবধান হতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কাশি দেখা যায়। তবে কাশির সঙ্গে কফ তৈরি হবেই, এমন কোনো কথা নেই।
কারণ খুশখুশে কাশিও হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ। কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা ফুসফুস ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ। ধূমপায়ী পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণটি আরও বেশি দেখা যায়। এ ছাড়াও ক্যান্সার কোষ শ্বাসনালির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্টও।
তদুপরি দীর্ঘদিন গায়ে গায়ে জ্বর থাকা, হঠাৎ করে ডায়েট বা ব্যায়াম ছাড়াই প্রায় ৫ কেজি বা তার বেশি ওজন কমে যাওয়া, ঘনঘন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়া, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কর্কশ বা খসখসে হয়ে যাওয়া কণ্ঠস্বর বা কণ্ঠস্বরে হঠাৎ পরিবর্তন, দীর্ঘ সময়ব্যাপী ক্লান্তি বা অবসাদবোধ, দুর্বলতা, ক্ষুধামান্দ্য প্রভৃতিও হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ।
পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন ঘাড়, পিঠ, বুক ও বাহুতে ব্যথা হতে পারে। যা কাশি দেওয়ার সময় আরো বেড়ে যায়। প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ে বুক ও কাঁধের ব্যথা নির্ণয়ের মাধ্যমে।
ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্তকরণ
ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বুকে এক্স-রে করা হয়। মাইক্রোস্কোপের নিচে কফ বিশ্লেষণের মাধ্যমেও অনেক সময় ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব। তবে ক্যান্সার শনাক্তের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো বায়োপসি।
যেখানে অস্বাভাবিক কোষ বা টিস্যুর পর্যবেক্ষণ বা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। প্রচলিত বায়োপসিগুলোর মধ্যে ব্রংকোস্কপি, মেডিয়াস্টিনোস্কপি, নিডল বায়োপসি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ফুসফুসীয় ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার আগে ক্যান্সার কোন পর্যায়ে আছে- তা নির্ণয় করা হয়। ক্যান্সারের ধরণ, অবস্থান ও আকার, স্টেজিং, গ্রেডিং এবং রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসার পরিকল্পনা করা হয়।
ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি উল্লেখযোগ্য। কিছু ক্ষেত্রে এই তিন ব্যবস্থার সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থাও অবলম্বন করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি দিন দিন টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসায়।
টার্গেটেড থেরাপি প্রয়োগ করা হয় ক্যান্সার কোষের সুনির্দিষ্ট মিউটেশনকে লক্ষ্য রেখে; যেন চিকিৎসার ফলে শরীরের সুস্থ কোষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলা হয়। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে অস্ত্রোপচার করে শুধুমাত্র টিউমার ও সংলগ্ন অংশ অপসারণ করে ফেলে দেওয়া যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফুসফুস বা এর অংশবিশেষ অপসারণের প্রয়োজন হয়। সার্জারির পদ্ধতিগুলোর মধ্যে লোবেক্টোমি, নিউমোনেক্টোমি, লিম্ফেন্ডেনেক্টোমি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
রেডিয়েশনের ক্ষেত্রে সাধারণত উচ্চশক্তিসম্পন্ন এক্স-রে এবং অন্যান্য তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করা হয়। কেমোথেরাপিতে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়। তবে কেমোথেরাপির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে দুর্বলতা, বমি ভাব, চুল পড়ে যাওয়া, ডায়রিয়া, মুখে ঘা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং খাবারের তালিকায় নিয়মিত তাজা ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে। উচ্চ ক্যারোটিনয়েড ও সালফোরাফেনযুক্ত খাবার যেমন- গাজর, কমলা, ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, ব্রকোলি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
তবে ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো ধূমপান না করা ও তামক সেবন থেকে বিরত থাকা। এমনকি ধূমপায়ীর নিকটে অবস্থান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। শিল্প কারখানা ও গাড়ির কালো ধোঁয়া নির্গমন গ্রহণযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা জরুরি।
বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন- ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি এড়িয়ে চলাও বুদ্ধিমানের কাজ। আবার ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগ যেমন- যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া ভালো হয়ে যাওয়ার পর ফুসফুসের আক্রান্ত স্থানে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। তাই এ বিষয়ে যথাসম্ভব সতর্ক থাকা আবশ্যক।
৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি যদি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন ২০টির বেশি সিগারেট ব্যবহার করেন; তাহলে তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য স্ক্রিনিং করা উচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে মৃত্যুহার অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। ফুসফুসের নিরাপত্তা অনেকাংশেই নিজের হাতে।
সতর্কতার সঙ্গে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই এড়ানো যায়। বিশ্ব ফুসফুসের ক্যান্সার দিবসে তাই সচেতনতার মাধ্যমে নিজের ও আশেপাশের সকলকে ভয়াল রোগটির বিষয়ে সতর্ক করে তুলুন- তবেই ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, সুস্থ জীবন উপহার দিয়ে যাওয়া সম্ভব।
লেখক: এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ), বিসিএস (স্বাস্থ্য), মেডিকেল অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ডুমুরিয়া, খুলনা।
জেএমএস/জেআইএম