করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ (লকডাউন) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
Advertisement
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। এতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভার্চুয়ালি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যুক্ত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধ বেড়েছে। সবাইকে ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে সেই শর্তারোপ করা হয়েছে। অফিস-আদালত ১১ আগস্ট থেকে খুলবে। এই কদিন বাস্তবতা লক্ষ্য করব। টেস্ট কেস হিসেবে দু-চারদিন দেখব। প্রয়োজন হলে জরুরিভিত্তিতে বসে সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, অর্থনীতি সচল রাখাও দায়িত্ব। সেজন্য কিছু শিল্পকারখানা খোলা হয়েছে। যানবাহন সব চলবে না। রোটেশন অনুযায়ী চলবে। ১০০ গাড়ি থাকলে শ্রমিক নেতারা ঠিক করবেন, অল্পসংখ্যক চলবে। সীমিত আকারে গাড়ি চলবে। রেল ১০টার জায়গায় হয়তো পাঁচটা চলবে।’
Advertisement
এর আগে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হবে। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধখাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্পকারখানা।
১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। বন্ধ দোকানপাট ও শপিংমল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।
কিন্তু এর মধ্যেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। দিন দিন অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ সোমবারের (২ আগস্ট) হিসাব অনুযায়ী একদিনে ২৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। এর মধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আইএইচআর/ইএ/এমকেএইচ
Advertisement