বমি যেকোনো কারণে হতে পারে। বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি অসুখ, গর্ভাবস্থা, জ্বর এমনকি অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক কিংবা বদহজমের কারণে বমি হওয়া একটি সাধারণ লক্ষণ।
Advertisement
আবার যানবাহনে উঠলে মোশন সিকনেসের কারণেও বমি হতে পারে। তবে অতি মাত্রা বমি হওয়ার সমস্যা মোটেও ভালো নয়।
বমি হওয়া যেমন কষ্টকর; ঠিক তেমনই ঘন ঘন বমি হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বমির ওষুধ খেলে দ্রত তা বন্ধ হয়।
এ ছাড়াও ঘরোয়া উপায়েই বমি বন্ধ করা যায়। তাৎক্ষণিক বমি থেকে স্বস্তি পেতে ঘরোয়া কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন-
Advertisement
সবুজ এলাচ
সবুজ এলাচ বমি বমি ভাবের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। সবুজ এলাচ বমি সারাতে কার্যকর। যদি আপনার বমি বমি ভাব হয়; তখন সামান্য মধু দিয়ে এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন।
এ ছাড়াও সামান্য মধু, ১/২ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বমি দ্রুত বন্ধ হবে।
মৌরি বীজ
Advertisement
মৌরি বীজ সাধারণত মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে খাওয়া হয়। মৌরি বীজের হাজারো উপকারিতা আছে। জানেন কি, এটি বমি প্রতিরোধ করতে পারে।
মৌরি বীজ বা সানফ আপনার মুখের স্বাদ রিফ্রেশ করে এবং বমি বন্ধ করতে সাহায্য করে। আপনি বীজ চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা এক কাপ মৌরি বীজের চা পান করতে পারেন।
লেবুর রস
লেবুতে ভিটামিন সি এবং খনিজ উপাদান আছে। যা বমি প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। এজন্য এক গ্লাস তাজা লেবুর শরবত পান করুন। চাইলে লেবুর শরবতে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
লবঙ্গ
আপনি যদি মোশন সিকনেসে ভুগেন; তাহলে অবশ্যই কাছে লবঙ্গ রাখুন। লবঙ্গ আপনাকে দ্রুত বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।
লবঙ্গের টুকরো কিছুক্ষণ মুখে রাখলেই বমি বমি ভাব বন্ধ হবে। এ ছাড়াও এক গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ লবঙ্গ সেদ্ধ করতে ওই পানি চা হিসেবে পান করতে পারেন।
আদা
আপনি যদি বমি বমি ভাব অনুভব করেন; তাহলে এক কাপ আদা চা খেতে পারেন। আদা পেটের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে এবং তাত্ক্ষণিক স্বস্তি দেন।
লবণ এবং চিনির পানি
বমি রোধ করার আরেকটি দ্রুততম প্রতিকার হলো লবণ এবং চিনির পানি পান করা। শরীরে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে অনেক সময় বমি হয়ে থাকে।
এজন্য এক গ্লাস পানিতে সামান্য চিনি এবং লবণ মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় আপনাকে তাত্ক্ষণিকভাবে হাইড্রেটেড এবং এনার্জি দেবে।
সূত্র: হার জিন্দেগি
জেএমএস/এমকেএইচ