আন্তর্জাতিক

নাইজেরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক চিকিৎসকদের

পর্যাপ্ত বেতন-ভাতার অভাব ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা চরমে পৌঁছানোর অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন নাইজেরিয়ার চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাস মহামারির তৃতীয় ঢেউ সামলাতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে আফ্রিকার বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশটি, এর মধ্যে চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ ধর্মঘটে যাওয়ায় সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Advertisement

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর অনুসারে, সোমবার নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস (এনএআরডি) এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, যার সদস্য দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ চিকিৎসক।

এনএআরডি সভাপতি উইলাওয়া ওখুয়াইহেসুই বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে দেশব্যাপী এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকেরাও এতে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি জানান, বকেয়া বেতন ও ঝুঁকি ভাতা পরিশোধের পাশাপাশি ভাইরাসে মারা যাওয়া চিকিৎসকদের পরিবারকে বীমা সুবিধা দেয়ার বিষয়ে চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে জন্য চাপ দেয়ার লক্ষ্যে এই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। উইলাওয়া বলেন, আমরা চাই, দায়িত্ব পালনকালে মারা যাওয়া আমাদের ১৯ সদস্যের পরিবারগুলোকে বীমা সুবিধার অর্থ পরিশোধ করুক সরকার।

Advertisement

তার অভিযোগ, নাইজেরিয়ার চিকিৎসকদের দায়িত্বপালনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ একেবারেই অপ্রতুল এবং এ সংক্রান্ত তহবিলও অপর্যাপ্ত। নাইজেরিয়ার সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। এ ধরনের একাধিক হাসপাতালে কয়েক মাসের বেতন ও অন্য সুবিধাদি বন্ধ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এনএআরডি সভাপতি।

উইলাওয়া ওখুয়াইহেসুই বলেন, আমরা নাইজেরিয়ার জনগণকে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। চিকিৎসকেরা ও তাদের পরিবারগুলো কষ্ট পাচ্ছে। আমরা সরকারের অসংবেদনশীলতা এবং আমাদের কল্যাণ তহবিলের প্রতি অবহেলার কারণে আর বিল পরিশোধ করতে পারছি না।

নাইজেরিয়ায় চিকিৎসকেরা অনেক আগে থেকেই হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও ওষুধ সংকটের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবের কথা বলে আসছেন। এসব দাবি আদায়ে তারা আগেও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন, অবশ্য পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

২১ কোটি জনসংখ্যার দেশ নাইজেরিয়ায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২ হাজার ১৪৯ জন। তবে সরকারি এ হিসাবের তুলনায় সেখানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

কেএএ/জেআইএম