দিনাজপুরে ইসকন মন্দিরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ম সভা চলাকালীন সময়ে গুলি ও বোমা হামলায় পৃথক পৃথক থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে জেলার কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের জয়নন্দ ডহচি গ্রামে। মন্দিরে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগ এনে মন্দির কমিটির পক্ষে কাহারোল থানায় মামলাটি দায়ের করেন গোবরধন দাস। মামলায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার শওকত আলীর ছেলে শরিফুল এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার বানভাসা গ্রামের তহশিলদার মানিক খন্দকারের ছেলে মোসাদ্দের হোসেনসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জন ব্যক্তি হামলায় জড়িত উল্লেখ করে গত শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা নম্বর-০৩। মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করেছেন এসআই তাজেরুল ইসলাম।অপরদিকে, হামলায় অংশ নেয়া লালমনিরহাট মোসাদ্দের হোসেনকে বীরগঞ্জে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে মোসাদ্দের হোসেন এবং ঘটনাস্থলেই আটক গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-ক ধারায় শুক্রবার রাতে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-০৬। মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেছে এসআই গারুর আলী।এদিকে শনিবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির। এসময় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন, বীরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুজন সরকার, কাহারোল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনছুর আলী, বোচাগঞ্জ থানার ওসি মো. হাবিবুল হক প্রধান।পরে তিনি ডাবোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিত রায়ের সভাপতিত্বে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের আশ্বাস প্রদান করে বলেন, সন্ত্রাসীরা দেশকে অস্থিতীশীল করতেই একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। দেশের মানুষের জান-মাল রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/আরআইপি
Advertisement