মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১ হাজার ১৬২ জনে।
Advertisement
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৭ ও নারী ১০৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৮১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ জন ও বাসায় ১৫ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় একজনকে আনা হয়।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জনে।
সোমবার (২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৬৯৭টি ল্যাবরেটরিতে ৫৫ হাজার ৯৩৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ৫৩ হাজার ৪৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৮ লাখ ৪৩ হাজার ৮৮৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৩২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ৪৮২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ আট হাজার ৭৪৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৪৬ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী দুইজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৭১ জন, ষাটোর্ধ্ব ৭১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩২ জন, আশি-উর্ধ্ব ১৬ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী তিনজন মারা যান।
Advertisement
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৭৬ জন, চট্টগ্রামে ৬৪ জন, রাজশাহীতে ২২ জন, খুলনায় ৩০ জন, বরিশালে ১৬ জন, সিলেটে ১৪ জন, রংপুরে ১৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এমইউ/বিএ