পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে এবং ফুসফুসের কার্যকারীতা হ্রাস পায় এমন খাবার ও পানীয় থেকে বিরত থাকতেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এমনকি এ জাতীয় খাবার গ্রহণের কথাও কাউকে বলতেন না তিনি। অতিরিক্ত স্বাদ ও রুচির জন্য বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকার উপদেশ দিতেন।
Advertisement
তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পছন্দ করতেন। আর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাবার থেকে বিরত থাকতেন। যেসব খাবার থেকে তিনি বিরত থাকতেন; তাহলো-
১. বেশি মিহি ময়দার পাতলা চাপালা পছন্দ করতেন না। তিনি চালাবিহীন আটার রুটি পছন্দ করতেন।
২. স্বাদ ও রুচির জন্য অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতেন।
Advertisement
৩. যেসব খাবার দ্রুত হজম হয় না; তা খাওয়া থেকেও বিরত থাকতেন।
৪. অতিরিক্ত স্বাদ ও রুচিসম্মত খাবার ও বেশি খেতেন না।
৫. অতিরিক্ত গরম যে কোনো খাবার থেকেই তিনি বিরত থাকতেন। যে খাদ্য থেকে ধোঁয়া বের হয়, এরূপ খাবারও খেতেন না প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ রকম অতিরিক্ত গরম খাবার ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতেন। অতিরিক্ত গরম খাবার সম্পর্কে তিনি কখনও কখনও বলতেন-
'আল্লাহ তাআলা আমাদের আগুন খাওয়ানি।' আবার কখনও বলতেন, 'গরম খাদ্যে বরকত নেই।'
Advertisement
শুধু তা-ই নয়
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও অতিরিক্ত খাবারও খেতেন না। এক নাগাড়ে শুদু খাবার খাওয়ার উপর থাকতেও নিষেধ করেছেন। অতিরক্তি খাবার খাওয়া সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন-
' মুমিন এক অন্ত্রণালীতে খাবার খায়। আর কাফের অবিশ্বাসীরা সাত অন্ত্রণালীতে খাবার খায়।' (তিরমিজি)
মনে রাখতে হবে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হালাল কোনো খাবারকেই খারাপ বলেননি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও কোনো খাবারকে খারাপ বলেননি। তিনি কোনো খাবার পছন্দ হলে খেয়েছেন আর অপছন্দ হলে তা ত্যাগ করেছেন।’ (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অপছন্দনীয় খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা। যেসব খাবার সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি, তা খাওয়া। খাবার গ্রহণেও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা। তবেই সুস্থ শরীর, দেহ ও মনের অধিকারী হবে মুমিন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক নিয়মে যথাযথ খাবার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। অতিরক্তি গরম ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। খাবারের সময় নিজেদের সংযত রাখার তাওফিক দান করুন। খাবার নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস