মতামত

বিনামূল্যে মাস্ক বনাম অকার্যকর লকডাউন

ড. মো. হাসিনুর রহমান খান

Advertisement

বাংলাদেশ এখন একটি ভয়াল আগ্রাসী সাত নম্বর মহাবিপদ সংকেতের করোনা ঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে| এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত বিশ্বে ২২২ টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে দৈনিক সর্বোচ্চ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হচ্ছে এমন প্রথম সারির ১৪ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে| এশিয়া অঞ্চলের ক্ষেত্রে প্রথম সাতটি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশর অবস্থান| দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে দৈনিক শীর্ষ আক্রান্তদের দিক থেকে ভারতের পরে বাংলাদেশের অবস্থান, তবে দৈনিক শীর্ষ মৃত্যুর দিক থেকে ভারতের পরে রয়েছে মায়ানমার এবং তারপর রয়েছে বাংলাদেশ| এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯ কোটি ৮৩ লক্ষ আক্রান্তদের মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ৪২ লক্ষ ৩০ হাজার মৃত্যুর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে দশমিক ৪৯ শতাংশ|

গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম তিনজন শনাক্ত হওয়ার পর হতে বিগত ১৭ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে মাসিক সর্বোচ্চ আক্রান্ত ধরা পড়ে এ বছরের জুলাই মাসে এবং মাসিক সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুও ঘটে এই জুলাই মাসে| বাংলাদেশ এযাবত যত সংখ্যক শনাক্ত (১২ লক্ষ্য ৪৯ হাজার ৪৮৪; ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত) হয় তার ২৭% শনাক্ত ধরা পরে শুধুমাত্র জুলাই মাসে| এই জুলাই মাসে প্রতি দুই মিনিটে ১৫ জন শনাক্ত হয় যা বিগত জুন মাসেও ছিল প্রতি দুই মিনিটে পাঁচজন| এ যাবত মোট মৃত্যুর (২০ হাজার ৬৮৫; ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত) প্রায় ৩০% মৃত্যু ঘটে এই জুলাই মাসে| জুলাই মাসে প্রতি ঘন্টায় মৃত্যুবরণ করে ৮.৩ জন যেটা জুন মাসেও ছিল প্রতি ঘন্টায় ২.৬ জন| মাসিক সর্বোচ্চ শনাক্তের এবং মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় কাছাকাছি মাস ছিল এ বছরের এপ্রিল মাস| এপ্রিলের তুলনায় জুলাই মাসে শনাক্ত এবং মৃত্যু ছিল যথাক্রমে ২.৩ এবং ২.৬ গুণ বেশি|

এই মুহূর্তে চলমান ভয়াল করোনার অতিমারির বিস্তার দ্রুত কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য রয়েছে চারটি পদ্ধতি| চারটি পদ্ধতি একসাথে গ্রহণ করলে খুব দ্রুত বিস্তার কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব-এটা প্রমাণিত| তবে যে কোন একটি বা একাধিক পদ্ধতি একসাথে অনুসরণ করলেও বিস্তারকে দ্রুত কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব- এটাও প্রমাণিত| চারটি পদ্ধতি হলো: (১) ফেস মাস্ক পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করা এবং ফেস মাস্ক সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণ করা, (২) প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ টেস্ট করে আক্রান্তদেরকে আলাদা করে রাখা (মূলত বাসা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন এর মাধ্যমে), এবং আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের চলাফেরাকে বন্ধ করে বা সীমিত করে দেওয়া (কোয়ারেন্টাইন), (৩) দেশের অধিকাংশ লোককে দ্রুত টিকা দেওয়া, (৪) কঠোর লকডাউন বা বিধি নিষেধ চলমান রাখা|

Advertisement

বর্তমানে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি কার্যকর করার বাস্তবতায় নেই বাংলাদেশ বিশেষত সক্ষমতা এবং অনিচ্ছার অভাবে| তৃতীয়টি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার অন্তত টিকা সংস্থানের যে অস্থায়ী রোডম্যাপ পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে বললেও| চতুর্থটি ইতিমধ্যে অকার্যকর (ইনফিজিবল) বনে যাওয়ায় বিশেষ করে তা ব্যাপক ব্যয়বহুল হওয়ায়, বৈজ্ঞানিকভাবে পালনে অক্ষমতা থাকায় ও জীবিকার প্রতিকূলে যাওয়ায়; এছাড়াও ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এর বিস্তার মূলত গ্রাম অঞ্চলে বেশি হওয়ায় এবং গ্রাম অঞ্চলে কঠোর বিধি নিষেধ না পালনের সংস্কৃতি বিদ্যমান থাকায় গ্রাম-অঞ্চলে করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধ ইতিমধ্যে অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে| ফলে বিস্তার দ্রুত কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য এই মুহূর্তে একমাত্র ভরসা হল প্রথম ব্যবস্থাটি গ্রহণ করা অর্থাৎ প্রত্যেককে ফেস মাস্ক পড়তে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্যতামূলক করা এবং মাস্ক সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণ করা|

পুনঃ পুনঃ ব্যবহার করা যায় প্রতিটি সুতি কাপড়ের মাস্ক এর মূল্য ২০ টাকা ধরে প্রতিটি ব্যক্তি মাসে চারটি অথবা তিনটি অথবা ২ টি মাস্ক ব্যবহার করলে মাসে বা বছরে রাষ্ট্রের কত টাকা খরচ হতে পারে এর একটি হিসাব বের করতে গিয়ে দেখেছি যে দেশে এক মাসে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধে যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয় তার শত ভাগের এক ভাগ টাকা দিয়ে প্রতিমাসে চাইলে দেশের সমস্ত মানুষকে চারটি মাস্ক বিনা মূল্যে বিতরণ করা যায়| দেশের শতভাগ লোককে মাস্ক দেওয়ার প্রয়োজন নেই কিংবা বাস্তবে সেটা সম্ভব নাও হতে পারে ধরে নিয়ে দেশের ৭০% লোককেও যদি মাসে চারটি সুতি কাপড়ের তিন লেয়ারের মাস্ক প্রদান করা যায় তাতেও খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ এক হাজার কোটি টাকা| অথচ টানা ৩০ দিন কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন পালিত হলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা|

অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করতে হবে| এবং সাধারন জনগন কে মাস্ক পড়ার ক্ষেত্রে বাধ্য করার জন্য প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিতে হবে, তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে; জেল-জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে| বিভিন্ন এনজিও, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিমালিকানার মাধ্যমে শুধুমাত্র বিনামূল্যে মাক্স বিতরণই যথেষ্ট হবে না| রাষ্ট্রকে বিনামূল্যে মাক্স বিতরণের ঘোষণা দিতে হবে এবং মাস্ক বিতরণের ক্ষেত্রে প্রধান সমন্বয়ক এর ভূমিকা পালন করতে হবে| কঠোর বিধি-নিষেধ কিংবা লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত বড় বড় শিল্প কলকারখানা সহ অন্যান্য সক্ষম স্টেকহোল্ডাররা নিজেদের আর্থিক ক্ষতি এড়ানোর জন্য হলেও রাষ্ট্রকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে বিনামূল্যে মাস্ক প্রদানে উৎসাহ দিতে পারে| তাছাড়াও কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আর্থিকভাবে বরঞ্চ লাভবান স্টেকহোল্ডারদের যেমন টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোকে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রকে বা জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে আর্থিকভাবে বা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়ে|

বিনামূল্যে মাস্ক পেলে মাস্ক কিনতে অক্ষম এবং পড়তে অনীহা ব্যক্তিদের মাস্ক পড়ার প্রতি এমনিতেই দায়বদ্ধতার (আগ্রহ) বেড়ে যাবে| মাস্ক পরিধানের কঠোরতা, পাশাপাশি কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন এর কুফল সম্পর্কে প্রচার চালালে মাস্ক পড়ার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে| পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে মাস্ক পরার নিয়ম কানুন সহ মাস্ক ব্যবহারের এবং সংরক্ষণের উপায় গুলি সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে| মাস্ক কি জনগণ তা জানে, কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা অনেকেই সঠিকভাবে জানে না| সঠিকভাবে মাস্ক এর ব্যবহার না জানলে এর সুফল পাওয়া যাবে না| সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়াসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কেও সাধারণ জনগণ অনেকটা অবগত| শুধুমাত্র শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়ার সচেতনতা সম্পর্কে সাধারণ জনগণ অনেকটা পিছিয়ে আছে| সঠিক প্রচার প্রচারণা চালালে এ ব্যাপারে জনগণের সম্পৃক্ততা এবং সচেতনতা ও বাড়বে|

Advertisement

প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষদেরও করানো হয় না, কিংবা গরীব অসহায় এবং কর্মজীবী মানুষদেরও করোনা হয় না- এ ব্যাপারে গ্রাম অঞ্চলের এবং শ্রমজীবী সাধারণ মানুষদের অহেতুক-অমূলক ধারণার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে| ডেল্টা ভারিয়ান্ট এর সংক্রমণের ব্যাপকতা এবং এর মৃত্যুঝুঁকি প্রত্যক্ষ করনের কারণেই এমনটি হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে| অন্যদিকে এ কারণেই হোক বা যে কারণেই হোক দেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার প্রবল আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে| টিকা না নেওয়ার অনীহা একেবারেই পরিলক্ষিত হচ্ছে না| যেমন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে টিকা প্রদানের শুরুতে মহিলারা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে চলমান টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে মহিলাদের হার অনেক বেড়েছে (৩০ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৪২ শতাংশ)| এখন দরকার মানুষের এই টিকা গ্রহণের সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষা কে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ টিকা সংস্থান করা এবং দ্রুত তা প্রদান করা|

এখন পর্যন্ত ২১ কোটি টিকা সংস্থানের প্রতিশ্রুতির একটা রোডম্যাপ আমরা পেয়েছি| টিকা কূটনীতিক এবং বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত সময়ের সাথে হয়তো আমাদেরকে এই প্রতিশ্রুত রোডম্যাপ কতটা বাস্তবায়িত হবে সে ব্যাপারে বলে দেবে| সাত কোটি জনসনের এক ডোজের টীকাসহ এই প্রতিশ্রুত সব টিকা আসলে আমাদের টিকা উদ্বৃত্ত থেকে যেতে পারে| সাম্প্রতিক হিসেবে, বিবিএস এর মতে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৮১ লক্ষ, যা এ বছরের শেষে হবে ধরে নিলাম সবমিলিয়ে ১৭ কোটি| গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মহিলা সহ ১৪ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো ব্যক্তিকে টিকার আওতায় নিয়ে আসলে তা দাঁড়াবে ৭৩ শতাংশ বা ১২.৫ কোটির কিছু কম|

জনসনের সাত কোটিসহ ২ ডোজের ১১ কোটি টিকা মিলে সর্বমোট ১৮ কোটি টিকা লাগবে| ফলে প্রতিশ্রুত টিকার পরিমাণ চাহিদার তুলনায় বেশি হবে যদি এরই মধ্যে কোন বুস্টার ডোজ টিকার প্রয়োজন না পরে| ১৪ বছরের নিচে জনসংখ্যার পরিমাণ ২৭% হওয়ায় কখনোই দেশের ৮০% লোক কে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না যদি না টিকা নেওয়ার বয়সকে আরও কমিয়ে দেওয়া না হয়| তবে শিশুদের টিকা প্রদানের নিশ্চয়তা খুব শিগগিরই বাংলাদেশর ক্ষেত্রে ঘটবে এমনটা প্রত্যাশা করা যায় না যেহেতু শিশুদের টিকা উদ্ভাবন এখনো সীমিত পর্যায়ে রয়েছে|

আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত আড়াই কোটি টিকা এসেছে, এর মধ্যে এক কোটি ৩১ লক্ষ টিকা (৮৭.৭ লক্ষ প্রথম ডোজ ও ৪৩.৩ লক্ষ দ্বিতীয় ডোজ) প্রদান করা হয়েছে| এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় ৭% লোককে ন্যূনতম পক্ষে একটি ডোজের টিকা দেওয়া হলেও বৈশ্বিক ভাবে তুলনা করলে সেটা অনেক কম| আবার নিম্ন আয়ের দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে সেটা অনেক বেশি| বিশ্বব্যাপী ২৮.৮% লোককে ন্যূনতম পক্ষে একটি ডোজের টিকা দেওয়া হলেও নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে সেটি কেবল মাত্র ১.১%| চীন এবং ভারতে টিকাদান ব্যাপকভাবে হওয়ায় বৈশ্বিক শতকরা অংশে এই দুটি দেশের অবদান সিংহভাগ হলেও উন্নত দেশগুলো তাদের অধিকাংশ লোককে ন্যূনতম পক্ষে একটি ডোজের টিকা দিতে পেরেছে| বিশ্বে এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন কোটি ৫০ লক্ষ এর বেশি টিকা প্রদান করা হচ্ছে| আগামী দু বা তিন মাসের মধ্যে উন্নত দেশগুলির অধিকাংশ দেশেই টিকা প্রদান প্রায় শেষ হয়ে যেতে পারে| আর তাহলে আগামী দুই বা তিন মাস পরে, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা অনেকটাই কেটে যাবে বলে আমার বিশ্বাস|

টিকা দানের বয়স সীমা কমানো হলেও চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদেরকে টিকা দানের ক্ষেত্রে অবশ্যই এখনো অগ্রাধিকার দিতে হবে| কেননা দেশে করোনার মোট মৃত্যুর ৯১% ঘটেছে এই চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে| টিকাদান বুথেও তাদের অগ্রাধিকার কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সেই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে| গণ টিকাদানের পাশাপাশি গণ টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে| প্রতিবেশী দেশ ভারত যেখানে প্রায় ৪৭ কোটি টেস্ট করেছে সেখানে আমরা এক কোটি টেস্ট এখনও করতে পারিনি| বাংলাদেশের জনসংখ্যা ভারতের জনসংখ্যার আট ভাগের এক ভাগ হওয়ায় বাংলাদেশের ছয় কোটি টেস্ট করার কথা| মাথাপিছু টেস্টের সংখ্যার হিসেবে ২২২ টি দেশে ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশর অবস্থান ১৭১| টিকা প্রদানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত দেশগুলিতে ডাবল ডোজ টিকা প্রদান করা হলেও মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা এবং বাধ্যবাধকতা দেখানো হচ্ছে| করোনা মহামারির বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত এই মাস্ক পরিধান করা একরকম অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে এই কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রকে এক্ষুনি বিনামূল্যে মাস্ক প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তা সঠিকভাবে পরিধান করাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচারণামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে|

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ফলিত পরিসংখ্যান আই এস আর টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সভাপতি, আই এস আর টি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাহী কমিটি।

এইচআর/এমকেএইচ