মাশরাফি বিন মর্তুজা একজন বোলার। বোলার হিসেবে বোলিং করবেন এবং উইকেট পাবেন এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এ আর শিরোনাম হওয়ার মত কোন খবর! কখনও কখনও হয় বৈকি! যখন ইনজুরি নিয়ে খেলে যান মাশরাফি, যখন টানা কয়েকটি ম্যাচ বল করতে পারেন না, করলেও সেটা হতো ছোট ছোট রানআপে।কুমিল্লার ফ্রাঞ্চাইজি মালিকপক্ষ বলে দিয়েছে, মাশরাফির পারফর্ম না করলেও চলবে। সে শুধু মাঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিলেই যথেষ্ট। ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা যতই বলুন, মাঠে নামলে কি আর দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে চুপ করে থাকা যায়! যায় না বলেই দেখা গেছে, লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জহুরুল ইসলাম অমির উইকেট নিতে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন মাশরাফি। বল করেছেন ছোটছোট রানআপে।কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে এসে আবারও বল হাতে তুলে নেয়ার সাহস দেখালেন মাশরাফি। একেবারেই ছোট রানআপে (দেখতে অনেকটা স্পিনারের মত) বল করলেন মাশরাফি। শুধু তাই নয়, স্পিনারেরমত বল করে দারুন সফলও তিনি। শুধু তাই নয়, টানা ৪ ওভার বোলিং করে গেছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন ১টি এবং রান দিয়েছেন মাত্র ১৩টি।বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সবাইকে অবাক করে তিন নাম্বারে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে বোলার মত কোন অবদানই ছিলনা তার। ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে ব্যর্থ মাশরাফি তাই বোধ করি জেদ থেকেই বল হাতে তুলে নিলেন এই পেসার।রংপুরের ব্যাটসম্যানরা যখন ছড়াও হতে শুরু করছিল কুমিল্লার বোলারদের ওপর, তখনই বল হাতে তুলে নেন মাশরাফি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে বল করতে এসে টানা ৫টি ডট বল দিলেন তিনি। শেষ বলে দিলেন মাত্র ১ রান।ইনিংসের নবম ওভারে এলেন নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে। প্রথম বলে ১ রান দিলেন। ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবি তাকে মারলেন ছক্কা। পরের ওভারেই প্রতিশোধটা নিয়ে নিলেন মাশরাফি। ইনিংসের ১১তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে আসেন মাশরাফি এবং চতুর্থ বলেই নবিকে শুভাগতর ক্যাচে পরিণত করে তিনি। চতুর্থ ওভারে দিলেন মাত্র ২ রান। শেষ পর্যন্ত মাশরাফির বোলিং ফিগার দাঁড়ালো ৪-০-১৩-১। টি-টোয়েন্টি বোলিংয়ে এর চেয়ে আর কত দুরন্ত বোলিং করা যায়!আরটি/আরআইপি
Advertisement