বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোশ শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে সম্প্রতি স্বর্ণের বাজার বেশ স্থিতিশীল দেখা যাচ্ছে। প্রায় এক মাস ধরে অনেকটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে এ ধাতুটির মূল্য।
Advertisement
বিশ্ববাজারের দাম পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৮০০ থেকে ১৮১৫ ডলারের মধ্যে অবস্থান করছে। এ সময়ের মধ্যে স্বর্ণের দামে বড় পতন বা উত্থান হয়নি। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর এতো দীর্ঘ সময় স্বর্ণের দামে এমন চিত্র দেখা যায়নি।
গত মে ও জুন মাসের শুরুতেও বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। হঠাৎ বড় উত্থান, এর পরেই অবার বড় দরপতন ঘটতে থাকে। ফলে বাংলাদেশেও বারবার স্বর্ণের দাম পুনর্নির্ধারণ করতে হয়।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দুই দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এরপর জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়। ফলে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়।
Advertisement
সর্বশেষ গত ১৯ জুন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি ভরিতে স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়। তবে বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম কমে তাতে বাজুস চাইলে ভরিতে স্বর্ণের দাম চার হাজার টাকা পর্যন্ত কমাতে পারত।
বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয় ২০ জুন থেকে। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৭১ হাজার ৯৬৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৮ হাজার ৮১৭, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৬৮ ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৪৯ হাজার ৫৪৬ টাকা। বর্তমানে এ দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৮৯ ডলার বা দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮১৩ দশমিক ২৫ ডলারে উঠে এসেছে।
এদিকে স্বর্ণের দাম কিছুটা বাড়লেও গত সপ্তাহজুড়ে আরেক দামি ধাতু প্লাটিনামের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে এই ধাতুটির দাম ১ দশমিক ১৮ শতাংশ কমেছে। এতে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯ ডলারে। অপরদিকে রূপার দাম ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ২৫ দশমিক ৪৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
এমএএস/এমএইচআর/এমকেএইচ