বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি, ইহজগতের সকল পাপ মোচন এবং পরকালের শান্তি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলে ৩ দিনব্যাপি বরিশাল জেলা ইজতেমা। ১৩ মিনিট স্থায়ী মোনাজাতে লক্ষাধিক মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন। জীবনের সকল গুনাহর জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে মুসুল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং আমিন-আমিন ধ্বনিতে ইজতেমা ময়দানে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা মো. জুবায়ের হোসেন। মোনাজাতে অংশ নেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আহসান হাবীব কামাল ও পুলিশ কমিশনার লুৎফুর রহমান মন্ডলসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তি। গত তিনদিনে ১২ জন মুরুব্বি ইজতেমায় বয়ান করেন। আজ সকালে মাওলানা আব্দুর রহিম ও মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ বয়ান করেন।এদিকে, শনিবার ভোর থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দূর দূরন্ত ও নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লা এবং আশপাশের জেলা থেকে আসা হাজার হাজার মুসুল্লির স্রোত যেতে থাকে নবগ্রাম রোড সরদার পাড়ায় ইজতেমা মাঠের দিকে। বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হওয়ার পূর্ব ঘোষণা থাকায় তার আগেই ইজতেমা মাঠ ও তার আশপাশের সড়কগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়। আশপাশের বাড়িগুলোতে অবস্থান নেন নারীরা। দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১২টা ৪১ মিনিটে। মোনাজাত শুরুর আগে ৩টি যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বয়ানে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বিরা ইহকালের সুখ-শান্তি ত্যাগ করে পরকালের জন্য নামাজ-রোজাসহ ইসলামের খেদমতে মনোনিবেশ করার জন্য মুসুল্লিদের প্রতি আহ্বান জানান। ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার মাওলানা মো. হামিম বলেন, ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসুল্লি অংশ নিয়েছেন। ৩ দিনের ইজতেমা চলাকালে বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে আসা এক মুসুল্লি ইন্তেকাল করেছেন। উল্লেখ্য, নগরীর নবগ্রাম রোড সরদারপাড়ায় ১০ একর জমির উপর তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু হয় গত ১০ ডিসেম্বর। সাইফ আমীন/এসএস/এমএস
Advertisement