গার্মেন্টসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
Advertisement
শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ইলিশা ফেরিঘাট থেকে কৃষ্ণানী, কনকচাঁপা ও কুসুমকলি নামে তিনটি ফেরি ছেড়ে যায়। প্রতিটি ফেরিতেই ছিল অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলার সাত উপজেলা থেকে আসা হাজারও যাত্রী ছোট-বড় ব্যাগ নিয়ে ফেরি ঘাটে এসে অপেক্ষা করছেন পারাপারের। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছেন সবাই। যাত্রীদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামীর সংখ্যাই বেশি।
ইলিশা ফেরি ঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রী জানান, পোশাক কারখানায় চাকরি করে সংসার চালাতে হয়। তাই গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানা খোলার খবর পেয়েই তারা রওনা দিয়েছেন। ১ আগস্ট কাজে যোগদান না করলে চাকরি থাকবে না তাই শনিবার (৩১ জুলাই) সকালেই ইলিশা ফেরিঘাটে পৌঁছালেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষার পরও ফেরিতে উঠতে পারেনে অনেকে।
Advertisement
আরেক যাত্রী মো. হারুন জানান, কর্মস্থলে যোগ দিতে পরিবার নিয়ে রওনা হলেও কীভাবে ঢাকায় পৌঁছাবো তা বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটে বা নদী সাঁতরিয়ে পার হতে হলেও যেতেই হবে। নাহলে চাকরি থাকবে না।
পারুল বেগম নামের আরেকজন বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর পুরুষ যাত্রীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেই ফেরিতে উঠতে হয়েছে। এত মানুষের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো সুযোগই নেই।
শনিবার সকাল থেকেই ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলার সদস্যরা দায়িত্বে থাকলেও যাত্রীদের কোনোভাবেই তারা বাঁধা দিয়ে রাখতে পারছেন না। ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল জানান, ফেরিঘাটে আসা যাত্রীদের অনেকভাবে বাঁধা দিয়েও আটকানো যাচ্ছে না। যাত্রীদের চাপের কারণে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
জুয়েল সাহা বিকাশ/এএইচ/এএসএম