লাইফস্টাইল

এক মিনিট ঝুঁকে পায়ের পাতা ছুঁলেই সারবে যেসব রোগ

নিয়মিত যারা শরীরচর্চা করে থাকেন; তারা হয়তো জানেন শরীর ঝুকিয়ে হাতের আঙুল দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করার উপকার কতখানি। শরীরের নিম্নাংশের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এই ভঙ্গির বিকল্প নেই।

Advertisement

যাকে বলা হয় বেন্ড ডাউন অর্থাৎ ঝুঁকে পড় এবং টাচ ইওর টয়স অর্থাৎ পায়ের পাতা স্পর্শ কর। হয়তো ভাবতে পারেন, এ আবার এমন কি কাজ! তাহলে চেষ্টা করে একবার দেখুন। যদি আপনি সহজেই এটি করতে পারেন; তাহলে তো ভালো। আর যদি না পারেন; তাহলে চিন্তার বিষয় হতে পারে।

সবসময়ই যে এটা পেশির নমনীয়তা না থাকার কারণে হচ্ছে, তা নয়। শরীরে ঠিকমতো রক্তসঞ্চালনের জন্য পেশির নমনীয়তারও প্রয়োজন আছে। কারণ পেশি নমনীয় না হলে শরীরচর্চা বা খেলাধুলোর সময় আঘাত লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কেন পায়ের পাতা স্পর্শ করতে পারছেন না?

Advertisement

আপনার হাত যদি পায়ের আঙুল পর্যন্ত না যায়; তাহলে হয়তো ফ্যাসিয়ার কারণে হ্যামস্ট্রিং শক্ত হয়ে থাকা। আবার যদি নিম্নাঙ্গের পেশি নমনীয় না হয়; সেক্ষেত্রেও এরকম ঘটতে পারে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত একটানা বসে কাজ করেন; তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়।

এমনকি তা থেকে শরীরের নীচের অংশে ব্যথাও হতে পারে। আবার যাদের পেটে ভুড়ি আছে; তারাও এই ভঙ্গি করতে পারবেন না। কারণ পেটের মেদ বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। আসলে যারা শারীরিকভাবে সক্রিয় নন; তাদের ক্ষেত্রে এই অনুশীলনটি করা কষ্টকর।

কেন করবেন এই অনুশীলটি?

নিয়মিত এই অনুশীলনটি করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের পেশি প্রলম্বিত হয় এবং উরুসন্ধিও নমনীয় হয়। যেহেতু এই ভঙ্গিতে সামনের দিকে শরীর পুরোটা ঝোঁকাতে হয়; তাই পেটের মদে গলতে শুরু করে। এ ছাড়াও নিম্নাঙ্গের মেদ, অগ্ন্যাশয়, কিডনির উপকার হয়।

Advertisement

এই অনুশীলনটি নিয়মিত করলে তলপেটের মেদও দ্রুত কমবে। নিয়মিত এই ভঙ্গি অভ্যাস করলে কমবে মানসিক উদ্বেগের সমস্যা। এ ছাড়াও মাথা ঝুঁকিয়ে রাখার কারণে, স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালনও বেড়ে যায়। এজন্য চুল পড়ার সমস্যাও বন্ধ হয়।

প্রতিদিন যদি ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট করে এই অনুশীলনটি করেন; তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হ্যামস্ট্রিংয়ের পেশি প্রলম্বিত হবে। তবে একদিন করে বন্ধ করলে কিন্তু হবে না।

নিয়মিত এই অভ্যাস করতে হবে। এই সমস্যা কমাতে দু’ধরনের যোগব্যায়ামের আসন করতে পারেন- উত্তানাসন ও পদহস্তাসন। এসব আসনেরও আছে অনেক উপকার।

সূত্র: হেলথশটস

জেএমএস/জিকেএস