দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ৬৪৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪৫ হাজার ৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৮৬২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে রোগী শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
Advertisement
শুক্রবার (৩০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) নমুনা পরীক্ষার হিসাবে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ২১ শতাংশের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এ পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৯১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
Advertisement
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজার ৪৬৭ জনে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৩ হাজার ৮৬২ জন। এর ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জনে।
মৃত ২১২ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ ও নারী ৯৩ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৪, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৮, বাড়িতে ৯ জন এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।
মৃত ২১২ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ৫ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৫ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৫ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৯ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩২ জন, আশির্ধ্ব ১১ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী ৬ জন মারা যান।
Advertisement
একই সময়ে করোনায় মৃত ২১২ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকায় ৬৫ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, খুলনায় ৩৬ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ১৭ জন, রংপুরে ৯ জন এবং ময়মনসিংহে ৮ জনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এএএইচ/এএসএম