আগামী রোববার (১ আগস্ট) থেকে চলমান বিধিনিষেধের (লকডাউন) বাইরে থাকবে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা।
Advertisement
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবির একদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত এলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।
এই সিদ্ধান্তের ফলে রোববার সকাল থেকেই খুলছে রফতানিমুখী সব শিল্প-কারখানা।
Advertisement
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।
এর মধ্যে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের শিল্প-কারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ফারুক হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম, সব ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। এই যে লকডাউনটা আছে, এটা থেকে যেন সমস্ত ধরনের শিল্পকে কাজ করতে সুযোগ দেয়া হয়। এটাই আমরা উনার কাছে অনুরোধ করতে আসছি।’
অনুরোধের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কী জানানো হয়েছে- জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে উনার (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) মাধ্যমে এই অনুরোধটা আমরা করেছি। তিনি (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) বলেছেন, উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। কথা বলে এই ডিসিশানটা খুব তাড়াতাড়ি দেবেন। করোনা পরিস্থিতি, সংক্রমণ, মৃত্যু সবকিছু মাথায় নিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সরকার এটা বিবেচনা করবে বলে আমরা আশা করি।’
Advertisement
এদিকে রোববার থেকে সকল শিল্প কারখানা খোলার অনুমতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছে পোশাক শিল্প পরিবার তথা বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
আরএমএম/জেএইচ/এএসএম