জোকস

সপ্তাহের রসালাপ : বিখ্যাতদের পাঁচটি মজার কাহিনি

পৃথিবীর যাবতীয় বিখ্যাত মানুষ নিয়ে আমাদের অনেক আগ্রহ ও কৌতূহল আছে। তারা কেমন, কী করেন, কীভাবে জীবনযাপন করেন প্রভৃতি। তবে তারাও সবার মতো রসিক ছিলেন। তাদের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক মজার ঘটনা ঘটেছে। তার কিছুটা হয়তো বিভিন্নভাবে আমাদের সামনে এসেছে। তেমনই পাঁচ বিখ্যাত ব্যক্তির মজার কাহিনি জানবো আজ—

Advertisement

১. মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের আর্থিক অনটনের সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তাকে টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। একদিন এক মাতাল তার কাছে সাহায্য চাইতে এলে বিদ্যাসাগর বললেন, ‘আমি কোনো মাতালকে সাহায্য করি না।’ ‘কিন্তু আপনি যে মধুসূদনকে সাহায্য করেন, তিনিও তো মদ খান।’ মাতালের উত্তর। বিদ্যাসাগর উত্তর দেন, ‘ঠিক আছে। আমিও তোমাকে মধুসূদনের মত সাহায্য করতে রাজি আছি। তবে তুমি তার আগে একটি ‘মেঘনাদবধ’ কাব্য লিখে আনো দেখি?’

২. মহাত্মা গান্ধী ইংল্যান্ডের রাজার সঙ্গে চা খেয়েছিলেন খালিগায়ে শুধুমাত্র ধুতি পরে। চা খেয়ে ফিরে এলে তাকে ব্রিটিশ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘রাজার সামনে বসে আপনার কি মনে হয়নি যে, আপনার শরীরে পোশাকের ঘাটতি ছিল?’ মহাত্মা গান্ধী উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আপনাদের রাজা একাই তো আমাদের দুজনকে ঢাকার মতো যথেষ্ট পোশাক পরেছিলেন।’

৩. এক জনসভায় উইনস্টন চার্চিলের বক্তৃতা শুনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের এক নারী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘যদি আপনি আমার স্বামী হতেন, তাহলে আমি আপনাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতাম।’ চার্চিল একথা শুনতে পেয়ে তার দিকে ফিরে হেসে বললেন, ‘ম্যাডাম! সেক্ষেত্রে আপনি আমার স্ত্রী হলে আমি নিজেই বিষ খেয়ে মরে যেতাম!’

Advertisement

৪. শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক নেপাল রায়কে রবীন্দ্রনাথ একবার লিখে পাঠালেন, ‘আজকাল আপনি কাজে অত্যন্ত ভুল করছেন। এটা খুবই গর্হিত অপরাধ। এজন্য কাল বিকেলে আমার এখানে এসে আপনাকে দণ্ড নিতে হবে।’ চিন্তিত, শঙ্কিত নেপালবাবু পরদিন শশব্যস্তে কবির কাছে উপস্থিত হলেন। আগের রাতে দুশ্চিন্তায় তিনি ঘুমাতে পারেননি। এখনো তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ উত্কণ্ঠার মধ্যেই বসিয়ে রেখেছেন কবিগুরু। অবশেষে পাশের ঘর থেকে একটি মোটা লাঠি হাতে আবির্ভূত হলেন কবি। নেপালবাবুর তখন ভয়ে কাণ্ডজ্ঞান লুপ্তপ্রায়। তিনি ভাবলেন, সত্যি বুঝি লাঠি তাঁর মাথায় পড়বে। তখনই কবি সেটি বাড়িয়ে ধরে বললেন, ‘এই নিন আপনার দণ্ড! সেদিন যে এখানে ফেলে গেছেন, তা একদম ভুলে গেছেন।’

৫. টমাস আলভা অ্যাডিসনের গ্রামোফোন আবিষ্কার উপলক্ষে এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এক তরুণি তাঁর বক্তৃতায় অ্যাডিসনকে অযথাই আক্রমণ করে বসলেন, ‘কী এক ঘোড়ার ডিমের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করতেই থাকে। আর তাই নিয়ে এত মাতামাতি! ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।’

তরুণী বলেই যাচ্ছেন। থামার কোনো লক্ষণ নেই। অ্যাডিসন চুপ করে শুনে গেলেন। বক্তৃতা দিতে উঠে তিনি বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ভুল করছেন। আসলে সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর করার যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বর। আমি যেটা আবিষ্কার করেছি, সেটি ইচ্ছেমতো থামানো যায়।’

লেখা ও ছবি: সংগৃহীত

Advertisement

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

এসইউ/এমএস