হার্দিক পান্ডিয়া কদিন আগে বলেছিলেন, ভারতের তৃতীয়-চতুর্থ সারির দলও যে কোনো টুর্নামেন্ট জেতার সামর্থ্য রাখে। বাস্তবতা বোধ হয় ওতটা সহজ নয়। করোনার ধাক্কায় ভারত সেটা টের পেল হারে হারে।
Advertisement
ক্রুনাল পান্ডিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা ৮ জনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। জোড়াতালি দিয়ে দল বানিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হেরেছিল ভারত।
ওই ম্যাচে তবু ১৩২ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। এবার তো পুরো ২০ ওভার ব্যাট করেও ৮ উইকেটে ৮১ রানের বেশি করতে পারল না শিখর ধাওয়ানের দল।
কলম্বোয় তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৭ উইকেট আর ৩৩ বল হাতে রেখে হারিয়ে সিরিজটাও ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
Advertisement
এদিনও বিশেষজ্ঞ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছিল ভারতকে। তাদের মধ্যে চারজনই ফিরেছেন ব্যক্তিগত দশ রান ছোঁয়ার আগে। ১০ বলে ১৪ রান করেন রিতুরাজ গাঁইকদ।
শিখর ধাওয়ান (০), দেবদূত পাড্ডিকেল (৯), সঞ্জু স্যামসন (০), নিতিশ রানা (৬) ভীষণ ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তাতে ৩৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত।
লজ্জাটা আরও বড় হতে পারতো, ভুবনেশ্বর কুমার আর কুলদ্বীপ যাদব কিছু রান করে না দিলে। ছয় নম্বরে খেলতে নামা ভুবনেশ্বর ৩২ বলে করেন ১৬। কুলদ্বীপ ২৮ বলে কোনো বাউন্ডারি ছাড়াই ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে রীতিমত ভয়ংকর ছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন এই লেগি। এছাড়া দাসুন শানাকার শিকার ২ উইকেট।
Advertisement
৮৩ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাড়াহুড়ো করেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথম ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তুলে মাত্র ৩৫। আভিষ্কা ফার্নান্ডো ১২ আর মিনোদ ভানুকা ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন রাহুল চাহারের শিকার হয়ে। চাহার এরপর আউট করেন সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও (৬)। ৫৬ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর হাসারাঙ্গা পরে কোনো বিপদে পড়তে দেননি দলকে। ডি সিলভা ২০ বলে ২৩ আর হাসারাঙ্গা ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন।
এমএমআর/জিকেএস