পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক কোনো কারণ ছাড়াই দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর নির্মাণ ও নদীশাসনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের কাছে জানতে চাই দুর্নীতি কোথায় হয়েছে? অনেক আলোচনা, তর্ক-বির্তক হয়েছে। তারা দু’টি কাগজ আমাকে দেখিয়েছিল। সেটি ময়মনসিংহ চার লেন ও সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট। আমি চিঠিও লেখলাম। কিন্তু কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। এখন আদালত জানতে চেয়েছে কোথায় দুর্নীতি হয়েছে।তিনি আরো বলেন, কোনো একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি আইন ভেঙে একটি ব্যাংকের এমডি পদে ছিলেন। তার কারণে এসব হয়েছে। তিনি ই-মেইলে বিশ্বব্যাংকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ ছিলো তার। তবে এটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি। ঘোষণা দেই পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করব। অনেক সাধারণ মানুষ প্রস্তুত টাকা পাঠাতে। আমাদের ধারণা ছিল যেকোনো কাজ করতে গেলেই অন্যের কাছে হাত পাততে হবে। টাকা দিতে নানা শর্ত দিয়ে থাকেন।কিন্তু, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে দেখাব। দেশের মানুষ আমাদের শক্তি যুগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে করতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের সহযোগিতাই আমার এ কাজে সাহস যুগিয়েছে।উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া যান। সেখানে পদ্মা সেতুর মূল পিলারের কাজ উদ্বোধন করবেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম, শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ কর্নেল (অব.) শওকত আলী, শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক মেহেদী জামিলসহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।মো. ছগির হোসেন/এমজেড/এসএ/এআরএস/আরআইপি
Advertisement