দেশজুড়ে

জেঁকে বসেছে শীত, সরগরম বস্ত্রের দোকান

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আর শীত থেকে বাঁচতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ঠাকুরগাঁও শহরের ফুটপাত ও পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আগের রাতে বৃষ্টির মতো শিশির পড়েছে। এতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শীতার্ত মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। জেলায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার মতে, জেলায় রাতে তাপমাত্রা ৮-৯ এবং দিনে ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করেছে।পৌর এলাকার খালপাড়া মহল্লার রিকশাচালক আছির উদ্দিন বলেন, সাধারণভাবে প্রতিদিন দুই `শ থেকে তিন `শ টাকা আয় হতো। শীতের কারণে কেউ রিকশায় উঠে না। সারা দিন ৫০ টাকাও আয় করতে পারি না। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে।ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠে পুরাতন ভাসমান শীতবস্ত্রের দোকানে কথা হয় বিক্রেতাদের সঙ্গে। ফুটপাতের ভাসমান ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত দামে শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাই বেশি। সেই সঙ্গে রিকশাচালকসহ অসহায় শীতার্ত মানুষও কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করছেন।ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীত নিবারণে নিরুপায় হয়ে গরম কাপড় কিনতে হচ্ছে। দাম একটু বেশিই নেয়া হচ্ছে। শীত যতই বাড়ছে ততই বাহারি শীতের পোশাক বাজারে উঠছে।শহরের একটি অফিসের সরকারি কর্মচারী আলাউদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, গতবারের শীতের জামা-কাপড় এবার ছেলে-মেয়ের হচ্ছে না। তাই শীতের পোশাক কিনতে বের হয়েছেন। ঠান্ডা বেশি পড়ায় ভালো মানের পোশাকই কিনবেন তিনি।আরেক ক্রেতা আতিকুল ইসলাম বলেন, শীতের পোশাক কিনতে এসে দেখছি ক্রেতা বেড়েছে। বেড়েছে দোকানদার ও পোশাকের দামও।এদিকে শহরের চৌরাস্তায় ভ্যানে করে শীতের পুরাতন কাপড় বিক্রি করছেন আবদুল খালেক মিয়া। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি ভ্যানে করে এখানে-সেখানে পুরাতন সোয়েটার, কার্ডিগান, মাফলার, বাচ্চাদের পোশাক, পুরাতন জ্যাকেট ইত্যাদি বিক্রি করছেন। তবে অনেক ক্রেতার ভিড়। বিক্রিও বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করছেন তিনি।ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, গতবারের তুলনায় কাপড়ের দাম অনেকটাই বেড়েছে। গতবার বাচ্চাদের যে কাপড় ৩০-৪০ টাকার মধ্যে ছিল তা এবার ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়দের যে কাপড় ৮০-৯০ টাকায় ছিল এবার তা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।বাচ্চাদের শীতের পায়জামা ৫০ টাকা, সোয়েটার ২৫০ টাকা, হাতা লম্বা গেঞ্জি, ব্লেজার ৪০ টাকা টাকা থেকে ৩০০ টাকা, কানটুপি ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, মোজা ১৫ টাকা, বড়দের সোয়েটার ৪৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।রবিউল এহসান রিপন/এসএস/এমএস

Advertisement