একপাশে তিনটি, অপর পাশে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। মাঝখানে দাঁড়ানো একটি অ্যাম্বুলেন্স। সবকটি গাড়ির সামনেই ব্যানার টানানো, ‘করোনায় রোগী পরিবহনে ডবলমুরিং মডেল থানা, সিএমপি’র উদ্যোগে রোগী পরিবহন সেবা’।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল ওয়ারীশ।
তিনি বলেন, ‘যান চলাচল বন্ধ থাকায় রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন। সামর্থ্যবানরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের সবার কথা বিবেচনা করেই পুলিশের এ বিনামূল্যের পরিবহন সেবা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনায় রোগী পরিবহনে থানার এ উদ্যোগে পাশে দাঁড়ান মাশরাফুল ইসলাম শাকিল। তিনি একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন। তারপর একে একে পাশে দাঁড়ায় সামাজিক সংগঠন ধনিয়ালাপাড়া বন্ধু মহল, মুহুরীপাড়া এলাকার ডলফিন ক্লাব, সিডিএ আবাসিক এলাকার আরএসকে ক্লাব, আগ্রাবাদের এসএস ট্রেডিং, পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার সায়মা প্রোপার্টিজ এবং পাঠানটুলি খান বাড়ির মো. আসাদ খান।
Advertisement
তারা প্রত্যেকেই রোগী পরিবহনে একটি করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা প্রদান করেন।
পুলিশ জানায়, তাদের বিনামূল্যে এ পরিবহন সেবা ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে। ০১৩২০০৫২৭৪৯ নম্বরে কল করলেই গাড়ি বাসার সামনে এসে রোগী নিয়ে যাবে। আবার হাসপাতাল থেকে বাসায়ও পৌঁছে দেবে। আপাতত ডবলমুরিং থানা এলাকার মধ্যেই এ সেবা সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে রোগীর অবস্থা বিবেচনায় বাইরেও এ সেবা প্রদান করা হবে। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকা পর্যন্ত সিএনজির সেবা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা অব্যাহত থাকবে।
মূল উদ্যোগটি নিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
তিনি বলেন, ‘যান চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় রোগীদের রাস্তায় নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই পুলিশ রোগী পরিবহনে অ্যাম্বুলেন্স ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ব্যবস্থা করেছে।’
Advertisement
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নগর পশ্চিম জোন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পংকজ দত্ত, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাহামুদুল হাসান মামুন ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
মিজানুর রহমান/এমএইচআর/জেআইএম